একসময় সব কথারা ফুরিয়ে যায়
চুপচাপ মুখোমুখী দুজনে দাঁড়িয়ে
কোথায় যেন ছিল আদিম নিস্তব্দতা
নিরবে পায়ে পায়ে কাছে উপস্থিত
চোখে লেগে থাখে বিস্ময়কর মুহূর্ত ।
    বিস্ফারিত সময় প্রতিক্ষা করে
    অমোঘ একটা আদেশের জন্য
    দুর্নিবার নয়ন লিপি উদ্ধারে ব্যস্ত
    নভের সপ্তর্ষি মন্ডলও শেষে  ব্যর্থ
    খসে খসে পড়ে যন্ত্রনাহীন তারারা
    ধরিত্রী বুকে ওরা চিহ্ন এঁকে দেয় ।
বুকের স্বছ হ্রদে ফুটেছে শতদল
নাভীমূলে তিরতির করে শতদ্রু
মাটি ভেদ করে পদযুগল অঙ্গুলি
শিকড়ের মায়ায় বাঁচার তাগিদ
প্রকৃতি গর্ভবতী আসন্ন-প্রসবা
প্রসব করো অনেক অনেক শব্দ ।
    এই যেমন বজ্রপাতে বৃষ্টির রিমঝিম
    এই ইথারে তরঙ্গে হোক তরঙ্গায়িত
    কিছু ফসলের ঘুম থেকে জাগার
    হেলান দেওয়া পাহাড়ের পত্রমর্মর
    বান ডাকা শব্দেরা সব উপচে পড়ুক
    আনন্দ ধ্বনির ছন্দে ভাসুক চরাচর ।