শীতসকালে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছ তুমি
আহ কি শান্তি দাও...
আরো দাও আরো দাও আরও দাও।
জানি, তোমার আর এক হাতে গরম চা।
তুমি যেন বলছ -উঠে পড়, আজ যে তোর ...
চোখ মেলে তাকাতেই দেখি তুমি নেই।
তোমার শরীরের সজনে ফুলের গন্ধ
হটাত কর্পূরের মতো উধাও।
মনখারাপের শুরু। নিজের উপর ভীষণ রাগ হোল।
চোখটা না খুল্লেই পারতিস
আদরের ছোঁয়া আরও কিছুক্ষন রয়ে যেত,
কিছুতেই হারিয়ে যেতোনা।


মাথায় দুবার চিরুনি দিতেই তোমায় মনে পড়ল
তুমি যেন বলছ মাথার জট ছাড়াতে ছাড়াতে,
-জানিস তোদের বংশে অল্প বয়েসেই চুল হারায়।
চাঁদের আলোয় মাথাটা চকচক করে।
দুটো একটা রয়ে যায় স্মৃতি টুকু থাক বলে।
দেখিস তোর থাকবেই থাকবে।
তুই যে অনেকখানি আমার মতন।
বিরক্ত হয়ে বলি -আহ মা লাগছে...
পিছনে ঘুরে দেখি কেউ নেই। সব ফাঁকা।
সবটাই কেমন মিথ্যে হয়ে গেছে।


খেতে বসেই খুঁজতে থাকি একটা জিনিস
ছিল সবটাই সাজানো গোছানো। ছিলনা শুধু সেটাই।
আমার মায়ের হাতে সেই অপূর্ব স্বাদের পায়েস।
অবশেষে সেটাও এলো।
একচামচ মুখে দিয়েই চোখ বুজে নিলাম।
আবার যেন এসেছে সেও শুভক্ষন... সেই স্বাদ
আবার সেই সজনে ফুলের সুবাস;
তুমি যেন বলছ -ভালো হয়েছে খোকা।
আবার আমাকে ঘিরে ধরল সেই ভয়,
মাকে যদি আবার হারিয়ে ফেলি।
মা তখন হারিয়ে যেতে যেতে যেন বলছে
-খেতে খেতে চোখের জল ফেলতে নেই খোকা।
আজ তবে আমি আসি।