অনেক দিন পর আজ উঠে দাঁড়িয়েছে আকাশ
ছোট্টবেলা প্রথম হাঁটি হাঁটি পা ফেলার মতন
মনে হোল একফালি চনমনে রোদ্দুর
জাঁকিয়ে বসল ওর মনের লাল রকে।
তারপর...


টুকরো টুকরো রোদ্দুরে ছড়িয়ে আছে
নানান স্বাদের নানান রূপে নানা গল্প নিয়ে
বুকের মাঝে খড়খড়ি জানলা খুলে দিতেই
উদ্ভাসিত বাতাসে মাথার চুলে বাতাস লাগে
অবাক চোখে চেয়ে হাত বাড়িয়ে রোদ্দুর
ধরতে ইচ্ছ হোল।
তারপর...


কিছু রোদ্দুর চলকে উঠলো চোখের সামনে;
দোলনা চড়া দোলার মতন দুলতে দুলতে এলো
চন্দ্রিমার মুখে সাদা রোদ্দুর হাসি ঝিলিক দিচ্ছে;
আকাশের চোখে শরতের আগমনী তৃপ্তি।
তারপর...


সব্বাইকে লুকিয়ে রোদ্দুর উঠে গেল চিলেকোঠায়
ওখানে রোদ্দুরের জন্য শিউলি ছিল অপেক্ষায়
শিউলি দরজা খুলল না কথাও বললনা;
রোদ্দুর কুড়িয়ে আনা ফুলগুলো দরজায়
রেখে এলো বিষণ্ণ ছায়া মুখে।
তারপর...


বাগানের এককোণে তমাল গাছের অন্ধকারে
সবুজ পাতার ভিড় সরিয়ে রোদ্দুর এলো;
তখনই অনড় ছোট্ট পুঁটলিটা নড়ে উঠলো।
ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ কান্না ভেসে এলো;
এযে দেখি ফুটফুটে একরত্তি
সোনা রোদ্দুর
তারপর...


কার আনন্দধন কার বাড়িতে যাবে? কে জানে!
শুনে মিত্র গিন্নী ছুটে এলো খ্যাপা বাঘিনী যেন।
বুকে তুলে নেয় সেই অবহেলা রোদ্দুর।
দুচোখে তাঁর অনর্গল অশ্রু ঝরে।
মায়ের মন অবুঝ নদী,
নিয়মের ধার ধারেনা।
সে যে ছিল সন্তানহীনা
এখন সন্তান সুখ খুঁজে পায়।