শিকল দিয়ে তোমায় যখন বাধল প্রতিবাদ করনি।
কপালে অস্ত্র দিয়ে যখন চিহ্ন এঁকে দেওয়া হল
তখন প্রতিবাদ করনি।
বছরে বছরে সন্তান প্রসব করতে বাধ্য করা হয়েছে।
মেনে নিয়েছ!
অবশিষ্ট খেয়ে প্রীতির পরম ঢেকুর তুলবে
শেখান হয়েছে ।
পুরুষের কথার উপর গলা তুলে বলতে পারবেনা ।
এমন অনেক বিধি নিষেধ সব তোমার জন্য ।


রাম রাবণের যুদ্ধ তোমার জন্য,
মহাভারতের মহাযুদ্ধ তাও তোমার জন্য।
সকালের কাগজের শিরোনাম তোমাকে দিয়ে শুরু
ঘরে বাইরে নেই তোমার কোন নিরপত্তা ;
নিষ্কৃতি নেই পাঁচ দিনের বা সত্তর বছরের কোন নারীর।
এমন কি ভ্রূণ থাকাকালীন উপহার
পত্রপাঠ পৃথিবী বিদায়।
এত অসম্মান এত অবহেলা সহ্য করে
কিভাবে বাঁচো নারী?


কবে বলবে নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী।
নিজের কথা । বেঁচে থাকার কথা ।
মাথা উঁচু করে পথ হাঁটা ।
থাকবে কেন নিরপত্তার বেষ্টনীতে ।
নিজেই নিজেকে রক্ষা করো।
হও দশপ্রহরনধারিণী ।
তুমিই স্বয়ংসিদ্ধা ।