আজ সকালটা যেন সকালের মতন ছিলনা
কেন যেন জানি মনে হোল
কিছু করার খুব প্রয়োজন, জবাব দিতেই হবে...
আলোকজ্জ্বল অর্ক যথেষ্ট কেন তাপিত?
মুখের উপর জানালা দেবার মত করেই
বলে ফেললাম - এমন অন্যায় কথা
শুনে চুপ করে থাকা যায়না।
বুঝলাম আমার জবাবে সে মোটেই সন্তুষ্ট নয় ;
এমন কথা শুনতে হবে সে যেন আশা করেনি।
তাই ঘাড় বেঁকিয়ে নীরবে আমার চোখে চোখ রাখে।
সারা মুখ জুড়ে ছিল ব্যাকারনের বিশাল জিজ্ঞাসা?
তারপর মাথা নিচু করে চলে গেল গন্তব্যস্থলে।


আজ সকালটা যেন সকালের মতন ছিলনা
সাত সকালেই পিতাপুত্রের বাকযুদ্ধের খণ্ডচিত্র।
ওর নাকি এই সময়টাতে মাথায় আগুন জ্বলে
মায়ের আচার আচরনে ভাবে অভাবে,
তাই তীর ছুঁড়ে বিঁধতে থাকে অনর্গল।
বুঝতে পারি কিছু শব্দ বাণ আমার দিকে ও আসে
অতএব ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়
তখুনি শুরু হয় অসম যুদ্ধের।


কিছু পরে ঘোলাটে জল থিতিয়ে আসে।
স্বছ জলে দেখি ভেসে ওঠে সন্তানের বিষণ্ণ মুখ।
আত্মবিলাপে বুকের ভিতর হুহু করে ওঠে ঝড়।
সেই ঝড়ে রাগ অনুরাগ মান অভিমানে সব ওলট পালট
আতিপাতি করে ধরতে ইচ্ছা হয় ওর হাত।
- এ আমি কি করেছি! ওযে আমারই সন্তান!
আমারই হয়তো কোথাও কোন ত্রুটি ছিল।
মুঠোফনে হটাত মেসেজ এসেছে... খুলতেই বেজে ওঠে
-  বাবা কেমন আছো? ভালো থেকো... আসছি...
আজ দুপুরে আমরা সবাই একসাথে ভাত খাব।