কী নামে ডাকব তোমাকে
বৈশাখে তুমি পোড়ামুখী বৈশাখি,
জ্যৈষ্ঠের উত্তপ্ত দুপুরে তুমি আমার তৃষ্ণা ।


ঠিক করেছি আষাঢ়ের অমিয় ধারাজলে
তোমাকে বর্ষা নামেই ডাকি,
শ্রাবণী খুব জুতসই নাম-না হয় তাই ডাকি
শ্রাবণের উদাস করা দিনে ।


ভাদ্রে জলের উপর তোমার বসত
তোমাকে ডাকতে পারি মৎসকন্যা অথবা ভাসানি
আশ্বিনে তুমি আমার অশ্বিনীকুমারী
কার্তিকে অপরূপা প্রেয়সী ।


অঘ্রাণে তুমি অনন্তযৌবনা-ডাকতে পারি ফলবতী
পৌষের মিঠেকড়া রোদ্দুরে
কেন ডাকবো না শীতের অতিথিপাখি ?


শীতার্ত মাঘে তুমি রাতের রূপসী
ডাকি মাঘী-পূর্ণিমা
ফাল্গুনে তোমাকে ডাকি ফাল্গুনী
নাকি ডাকব বাসন্তী ।


চৈত্রে তুমি হও উদাসী দুপুর
চৈতালি হাওয়া আর
আমার সারাবেলার দুঃখ;
তোমাকে শেষমেশ দুখী নামেই ডাকি ।
--------------------------------
গ্রন্থ- জন্মেই কেঁদেছি ভীষণ
প্রকাশ- অমর একুশে বইমেলা ২০০৮ খৃঃ