গল্প গুলো বলতে গিয়েও আর বলে না কেউ,
স্টেশন পেরোয় হুড়মুড়িয়ে ফালতু কথার ঢেউ।
সামলে নিয়ে নামবে ভাবে, নামতে পারে কে কে
প্ল্যাটফর্মের এক কোণেতে পাগল ওঠে হেঁকে
“ফুরিয়ে গেল ফুরিয়ে গেল যাত্রা হল শেষ
লাগবে এবার নতুন পালা চন্দ্রমুখীর দেশ।
নতুন পালায় ঢাল তলোয়ার, নতুন পালায় বাঁদী
রাজ কুমারের হোক বনবাস রাজ কন্যের শাদী”
পাগলা হাঁকে কু ঝিক ঝিক, তেমনি ছোটে ট্রেন
কামরা গুলোয় হাঁচড় পাঁচড় কেউ টানে না চেন
রাত্রি হলেই জোছনা আসে সফেদ পরিপাটি
সেই জোছনায় ওড়ায় ঘুড়ি শাহজাদা পেটকাটি
হুড়মুড়িয়ে শহর পেরোয় পেরিয়ে যে যায় গ্রামও
ভাবছে না কেউ কোথায় এলো কেউ বলে না নামো
স্টেশন পাড়ায় চায়ের মাচা, মাচার নীচে পাঁক
রাজপুত্তুর টানছে বিড়ি, কলজে পুড়ে খাক।
রাজকন্যে বাপের বাড়ি, বেচছে জিনিষ ট্রেনে
কোলের খোকা আদুড় গায়ে, সব নিয়েছে মেনে।
কামরা গুলোয় বিরক্তি খুব তেঁতুল তেঁতুল টক
আধ খাওয়া সব পদ্য সওয়ার, ছন্দ যে তির্যক
রূপকথাতে রূপ নেই তাই কথায় চলে দেশ
পূব আকাশে আলো ফোটার স্বপ্ন বুকে বেশ।
ট্রেনের ভেতর বাউল বাতাস কামরা জুড়ে ঢেউ
কেউ বলে কি আর যাবো না, রোককে বলে কেউ?