ঘন গাঢ় অন্ধকার বার বার করে গ্রাস সুবর্ণরেখার পার,
ভেসে আসে জলের আওয়াজ, ছলাত ছলাত,
শোনেনি তো কেউ সেই আর্তনাদ, দহের জলেতে জুড়োল
জ্বালা হতভাগি এক। জাগে ওই আলেয়ার আলো।


শিশির সিক্ত অড়হরের ক্ষেতে, মায়ের কোলের মতো ওম নিয়ে
ছড়ায় সোঁদা রোদের আলো, ছোঁয়াচে ভালোবাসার মতো
ভেজা লজ্জাবতীর পাতায় আঙ্গুল ছুইয়ে যায় চঞ্চল বালকের দল।
শীতল বিছানা শুধু হাহাকার করে, এক বুক শুন্যতা নিয়ে।


কানাকড়ি ইচ্ছে কতো, স্বল্প চাওয়া, বহু অনুভব,
সুবর্ণরেখার জলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।
বাতাসে উড়ন্ত আজ, অপবাদ অবহেলা বঞ্ছনার বহু গল্প গাথা,
গাঁদা ফুলের সাজে কোনদিনও কেউ আর রানি সাজবে না।


যন্ত্রণার অবসান অবশেষে, অবসান অনেক বেদনার,
নদীর জলের স্রোতে, শান্তি আসে গুটি গুটি পায়।
পূর্বসন্ধ্যার সোনালি আলোয়, সোনালি জলের গভীরে,
অভুক্ত ভিখারিনি হিমেল শান্তি খোঁজে মাছেদের খাবার হিসেবে।