হঠাৎ বছর কুড়ি পরে, মুখোমুখি
আচমকা একদম, স্বপ্নিল অধঃপতনের মতো,
হৃদপিণ্ড মুখের ভেতর, মুখ লাল, কম্পমান জানুসন্ধিদ্বয়।


কালচক্র পলকে পিছায়ে যায়, সেই সব দিন,
সেই আলো, সেই মেঘ, মান অভিমান, চলচ্চিত্র প্রায়
বহুকাল অন্ধকার স্মৃতির গলিতে, আলোক প্লাবন ধেয়ে আসে।


সেই মুখ, সেই চোখ, মধুমাখা সেই বাঁকা হাসি,
স্বল্প পৃথুলা ভাব? স্থলিত নয়নতল? না না না দৃষ্টিভ্রম হবে নিশ্চয়।
ওই সেই কালো তিল, গ্রীবার একটু নিচে, অসীম রহস্যপরে এখনো বিরাজমান।


নদীর ওপার হতে, মূর্ছনার মতো, শব্দ ভেসে আসে,
“আরে ... তুমি যে। কেমন আছো। বৌদির কি খবর বল”।
দীর্ঘশ্বাস এক, পথ হারায় ফুসফুসের গভীর গহন জঙ্গলে, ঘুম ভাঙে যেন।


লজ্জিত কিশোর এক, মায়ের সামনে আসে গুটি গুটি পায়,
“রাহুল, আমার ছেলে। ইনি মামা হন। ওনাকে প্রনাম করো”
আকস্মাত সম্পর্কের চোরাবালি, গোগ্রাসে গিলে গিলে খায়, বিদীর্ণ হয় মন।


হঠাত বছর কুড়ি পরে, মুখোমুখি
সযত্নে লালিত কত সুখস্মৃতি, মুহূর্তে বিনষ্ট আজ,
ছোট ছোট ভাল লাগা, হাত নেড়ে দূরে চলে যায় চিরতরে।