এক একটা অদ্ভূত সময় আসে, জীবনের তারগুলো শুধুই বেজে চলে বেতালা বিলম্বে।  সকল কিছুই লাগে একঘেয়ে, একপেশে। ভাল খাওয়া, ভাল গান, ভাল ছবি, কিছুই লাগেনা ভাল আর। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, রজনীগন্ধার বাস, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, ঝর্নার কুলু কুলু, সমুদ্রের গর্জন, কিছুই না। এমনকি পেয়ারাপাতার ফাঁকে অবিরাম হেঁটে যাওয়া পিঁপড়ের সারি বা খড়ের ছাদ থেকে ঝুলে থাকা জলবিন্দুর বুকে সকালের রোদ্দুরও না। প্রিয়ার আদর, হাসি, সব সব যেন বিষণ্ণ হতাশার রূপ। বিস্ময়, অবাক শব্দ গুলো, কেমন অচেনা হয়, ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে, মানসিক রুগীর মতো। দিনগুলো শুরু হয় তেতো চায়ে, শেষ হয় পরিপাটি বিছানায়, বৌয়ের সাথে ঝগড়া শেষে ঘুমহীন চোখে।  বন্ধুরা এলিয়েন, বান্ধবীরা সূর্পণখার রূপ নেয়। কংক্রিট জঙ্গল হয়ে পড়ে স্বাপদসঙ্কুল। ভয় যত, ত্রিমাত্রিক সিনেমার উপলখন্ডের মতো উড়ে উড়ে যায় কান ঘেঁষে। তেলাপোকার দল, মনের ভেতরে বাঁধে বাসা ও করে চলে বংশবিস্তার, মৌন করে। আর কবিতা লিখতে গেলে, লেখা হয় ঠিক এমনটা, যেমন লিখেছি আজ।


ভাগ্যিস সময়টা চিরস্থায়ী নয়!!!!!