এ যেন গেরামের আমতলা, জামতলা
বা বটতলার গপ্পো নয় শুধু,
এতে গরম বাতাস, রোদে পোড়া লাউমাচা,
ধুলো ওড়া সাদা রাস্তাও আছে।


মোড়লের নতুন হাওয়াইয়ে পায়েতে পড়েছে ফোস্কা,
পবনার ছোট্ট বেটা, মায়ের কাছেতে
চেড্ডি কেনার ধরেছে বায়না, সেগুলো কিন্ত...
নাহ, সেগুলো কোন মতেই গপ্পো নয়।
তবে খোঁজ খোঁজ... গপ্পোর খোঁজ কর শালা।
আজকাল গপ্পো ছাড়া বাঁচবি কেমনে।


যেমন, গরম বাতাসে মরল গুইরাম মাঝি,
রোদে পোড়া লাউমাচার পাশেই মিলল,
পড়া লেখা ফটিকের লাশ, পাশে পোস্টার,
আর সাদা ধুলো ওড়া ছোট রাস্তায়,
বড় নেতার বড় গাড়িটা আসে,
খুব ধুলো উড়িয়ে, বেদমা, অন্ধ করে যেন।
হ্যাঁ, এই গুলোই গপ্পো বটে।


গেরামের গপ্পো, লাল মাটি মোরামের গপ্পো,
আছে আরো কত, যদি খুঁজি।
মা মরা রূপালী?
দু-বেলা খাবার আর রঙ্গীন জীবনের খোঁজে
শেষ মেশ গাছে ঝুলে পরা?
শাক পাতা, কন্দ খেয়ে অনেক বছর বাঁচা।
বাঁচা? না তিলে তিলে মরা।


এই সব গপ্পো সপ্পো, ভালো মন্দ কতই তো আছে।
ভালো কিছু বলি নাই বুঝি?
বলি তবে, ভাগচাষী প্রকাশের বড় ছেলে,
শহরেতে হেড মাস্টার।
আর গেরামের শিশুগুলো শেখাচ্ছে লেখা পড়া,
বড়দের সাঁঝের বেলায়।


তাই বলি,
গেরাম মানেই শুধু আমতলা, জামতলা
বটতলা নয়, এখানে মানুষও কিছু থাকে...