রোজ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন সুখে হচ্ছি বিভোর,
উল্টোপাল্টা স্বপ্ন যত তবুও হয় রাত কেটে ভোর।
কিন্তু কিছু স্বপ্ন থাকে ঘুমের আগেই জাগিয়ে রাখে,
কল্পনারই রূপকথা বীজ ছড়িয়ে চলে মনের বাঁকে।


যেমন ধর চিন্তা আসে, তিন তলার এই ব্যালকনিতে,
এক সকালে দরজা খুলে অবাক হয়ে প্রবল শীতে
দেখব কেমন ছড়িয়ে আছে গোলাপ বাগান মস্ত বড়,
শিশির কণা পাপড়ি জুড়ে হীরকদ্যুতি রৌদ্র করও।
ফ্ল্যাটের সামনে রাস্তা ভাঙ্গা বদলে গেছে নদীর ধারায়
অবাক করা জংলী হাওয়া বইছে আমার বসত পাড়ায়।


কিম্বা ঐ যে সিগনালেতে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট খোকা,
ভিক্ষে করে হাত বাড়িয়ে জীর্ণ বসন দেখতে বোকা।
পেট ভরিয়ে বাঁচলে কিছু, কিনেই ফেলে কোকা কোলা,
ফুটপাতেতে ঘুমিয়ে পড়ে করুণ মুখে জগৎ ভোলা।
ধরই যদি এক সকালে, পরিপাটি স্কুলের ড্রেসে
আঁচড়িয়ে চুল উঠত বাসে গলাতে টাই চলত হেসে,
মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বিকেল করে ফিরত ঘরে
ঘুমপাড়ানি গল্প শুনে ঘুমিয়ে কাদা খেলার পরে।


নিদেনপক্ষে হঠাত করে বয়স আমার হত বাইশ
জগৎখানা পালটে যেত পূর্ণ হত মনের খোয়াইশ,
নতুন ভাবে চলত জীবন ভুলগুলো সব শুধরে নিয়ে
এক রাস্তায় আবার চলা কতই মজা হাঁটতে গিয়ে।


মন খারাপী ভাবনা ভেবে হে্সেও উঠি কখন সখন
মানায় কি আর এসব চিন্তা, এই বয়েসে শিশুর মতন,
তবুও সব আজব খেয়াল বেরায় ঘুরে মনের মাঝে
চেষ্টা করেও পাই না ছাড়ান, জ্বালায় বড় সকাল সাঁঝে।