মা ... তুমি ধন্য,
পৃথিবীতে আমায় এনে দেয়ার জন্য।
গর্ভে নিয়েছো আমায় দশমাস দশদিন,
পরিশোধ করা সম্ভব নয় তোমার সেই ঋন   ।


মা ... তুমি এক সুভাসিত ফুল,
সবই তুমি মেনে নাও যতই করি ভুল।
পড়ার টেবিলে না বসে দিয়েছি কত ধোকা,
সোহাগ দিয়ে বলেছ তুমি এমনটা করোনা খোকা।


মা ... তুমি সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ,
সবই তুমি ভুলে যাও যতই দেই কষ্ট।
সন্ধ্যা হলে পড়া শেষে দিয়েছো খাবার খেতে,
সকাল হলে দিয়েছো তাগিদ, স্কুলেতে যেতে।


মা ... তুমি আকাশের চাঁদ
তোমার ভালোবাসায় নেই কোন খাদ।
চোখের আড়াল হলেই আমি, নিয়ে থাকো খোজ,
ভালোবাসা আর মায়ার জালে বেধে রাখো রোজ।


মা ... তুমি সেরা উপহার,
তোমার তুলনায় নেই যে কেহ আর।
স্কুল থেকে বাড়ী ফিরতে যদি  হত দেরি,
পথের পানে চেয়ে থাকো ঘর দুয়ার ছাড়ি।


মা ... শ্রেষ্ঠ সম্পদ,
তোমাকে যে না, চেনে সেতো চতুষ্পদ।
চাকুরীতে যোগ দিতে ছাড়ি যখন বাড়ি,
চোখ ফিরাওনি আমায় থেকে না উঠতে গাড়ি।


আমি তোমার অতি আদরের অন্তর দিয়ে জানি,
তাইতো বুঝি আমার জন্য ফেলছো চােখের পানি।
খাওয়ার সময় হওয়ার আগেই এনে দাও ভাত,
বাড়ি ফিরতে দেরি হলে জেগে থাক রাত।


মা ... তুমি সবচেয়ে আপন,
অক্ষম অসহায় শিশু ছিলাম যখন,
আদর করে বুকে টেনে চুম দিতে তখন।
যদিও আমার সব হয়েছে, তুমি নাই এখন।


মা ... তুমি আমার স্বর্গ,
তোমাকে নিয়ে করি আমি গর্ব।
যে জন তোমায় করেনা ভক্তি,
সে জন পাবে না নরক থেকে মুক্তি।