বাবা মায়ের অভাবী সংসার নেই কোন কাজ,
পেটের দায়ে ঢাকা এসে গার্মেন্ট কর্মী আজ।
ভাের বেলাতে কাজে যায় সাথে ভাতের বাটি,
রাত দশটায় বাসায় ফিরে খেয়ে কলা রুটি।
পান্তাভাত আর আলু বর্তা নিত্যদিনের খাবার,
মাছ মাংস আর ঘি মাখন নয়তো তাদের চাওয়ার।
তাদের কাজের বিনিময়ে আসে কত বৈদেশিক টাকা,
সেই টাকাতে সচল থাকে অর্থনীতির চাকা।
ভোর হতে ডিউিটি চলে রাত দশটা পেরিয়ে,
উপযুক্ত বেতন চাইলে মালিক যায় এড়িয়ে।
পেটের দায়ে ডিউটি করে নারী পুরুষ মিলে,
বকা ঝকা করে তাকে একটু ভুল পেলে।
সুখের আশায় গার্মেন্টে আসে কোলের শিশু ফেলে,
মায়ের আদর পায়না শিশু অন্যর কাছে থেকে।
সবার শিশু বড় হয় দোলনাতে দুলে,
তাদের শিশু বড় হয় ধুলি বালি মেখে।
সুচিকিৎসা হয়না তাদের রোগ শোক হলে,
ঝাড় ফুঁকের জন্য তারা কবিরাজের বাড়ি চলে।
ছুটি চাইলে ছুটি মিলেনা শুধুই কাজের চাপ,
কোন কারণে অনুপস্থিত থাকলে হয়না তার মাফ।
সময়মত পৌছেতে হবে চলবেনাকো দেরি,
একটু খানি দেরি হলে শাস্তি হবে জারি।
অবহেলিত উপেক্ষিত এই সমাজে যারা,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে গার্মেন্ট কর্মী তারা।