আমি মানুষ নয়তো অমানুষ যাহা ইচ্ছে ভাবো তুমি-
আমি চেতনায় করি কষাঘাত আবার চেতনারেই যাই নমি।
আমি চিৎকারে করি অনাচার,অনাচারেই আমি খুঁজে নেই আচার-
আমি হুঙ্কারে ছড়াই বিদ্বেষ আবার হুঙ্কারেই করি সব শেষ।।
শান্তির শান্ত স্বভাবের আমির আমাতে করিয়াছে রাহুগ্রাস-
শান্ত সমুদ্রে ঝড় তুলিয়াছে করি শয়তানের উল্লাস।।
অপূজিত পূজায় পূজিত হইয়া অমাবস্যা হতে পূর্ণিমা-
এ ব্যাথা ভারী এই রূপ তারি এভাবে পাইবেনা ক্ষমা।।
সহ্যগুণ আজি সহ্যাতীত এসবরেই বড় গুণ-
চুপ রও!খামশ!মারিয়া করিব খুন!
মিথ্যা বলেছ,অন্যায় করেছ অনেক দেখেছি ভারী-
সেসবে তাই ঘেন্না ধরেছে হাটে ভাঙিব আজি হাড়ি।।
দূর্বাদলশ্যাম ছিল যে মানুষে ঘুম ভেঙেছ যার আজি-
যে করেছে কাজ,বেঁচে দিয়ে লাজ তাহাকেই করেছ পাজী?
ভীরু তুমি!কাপুরুষ তুমি!দুর্বিষহ  তোমার মুখ-
চেহাড়া যে ভারী,তুমি অনাচারী কেড়ে নিয়েছ তার সুখ!
অনেক দেখেছি,আজ আর নয়  এত নেই স্বাধীনতা-
দেখিয়াছি ভারী ভারহীন তরী বেয়ে হয়েছ যে নেতা!
নামো গদি থেকে,কে দিয়াছে তোমারে আরামে বসেছ যেথা?
খেয়ে কাজ নেই?ভাবিয়া গিয়াছ অনাচারে দিবে ভরি?
গরীবের অন্ন করে পুষ্পান্ন নিজ পেট লইবে ভরি?
শয়তান তুমি,ক্ষেপিয়া গিয়াছি সহ্য হয়েছে শেষ!
দেখনি ক্ষুদায় কাঁদিয়াছে কত অভাবে হয়েছে শেষ!
অনাচার আজি আমিই করিব,তোমারে করিব শেষ-
বাঁচিবে গরীব অসহায় সবে গরীবে চালাবে দেশ।।
মারিব তুমারে,তুমি অনাচারী আঘাত করিব ঘারে
এক দুই তিন গুণিয়া মারিয়া পাঠাইব পরপারে।
যে সকল সবে ক্ষুধা জ্বালা ধুকে সেসবে দিবে অন্ন
প্রতিজ্ঞা কর,নয়তো এবারে হয়েইছি যে আমি বন্য
ক্ষমা চাও মুর্খ!পরকাল রাখ,যে মরে ক্ষুদা পেটে?
অন্ন দাও তারে, তারে সেবা কর সেইযে ইশ্বর বটে!
এই শেষ বার,রক্ষা নাই আর পরিবর্তন আন সবে
প্রাণেমারা যাবে,বাঁচিবেনা ভবে কঠিন বিচার হবে!