পরাজয় কিছু সাময়িক।
শূন্যতার ভিতরে শুধু কিছু শূন্যতার ক্ষয়ে যাওয়া।
যুদ্ধোন্মাদ, চতুর অন্ধ তাকে রক্তাক্ত করে
নিঃস্ব করে চলে যায়, উদ্ধত।


খুব সাবধানে সেই শূন্যতা তুলে এনে
তাকে মাথার কাছে রাখি, তার দিকে চেয়ে থাকি,
আর প্রশ্ন করি নিজেকে ক্রমাগত -----
কোথায় ভুল ? কোথায় আত্মতুষ্টি ?
কেন তোমার মুখের আলো সামান্য ফ্যাকাসে ?


দৃশ্য বদলে যায় -
দৃশ্যের ভিতরে দৃশ্য
         কিছু স্বাভাবিক         কিছু আনকোরা।
সংলাপ ভুলে গেছ সামান্যই, তাতে কি --
এসো মোহনলাল সিরাজের পাশে
                      নতুন রক্ত নিয়ে আবার
দৃশ্যের ভিতরে দেখো-
            অন্ধকারে জন্মানো
            সাদা ফুলের মতো অনিবার্য কিছু মুহূর্ত।
এসো গান রচনা করি
যুদ্ধের পাশাপাশি যুদ্ধ, পেছনে এবং সামনেও-
কিন্তু শেষের কবিতায় শুধু মানুষ,
মানুষই জন্মাবে গানের মুহূর্ত নিয়ে
ধ্বংসের বিপরীতে রক্তমাংসের সে এক
                      চলমান গদ্যরুপ।