একসময় ভাবতাম,
তোমাকে ছাড়া বুঝি বেঁছে থাকা যায় না
কি করে মানুষ বাঁছে তুমিহীন?


তুমিহীন রাত্রিগুলো মহা কালের নিকৃষ্ট পাপরাশি
আর দিন গুলো সাহারার বুকে কোন
পিপাসার্ত যুবকের আমরন অর্নশন,
তুমি ছাড়া পূর্ণিমার সুডোল চাঁদের
উপর জমে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ
সেই জোছনার ছোঁয়ায় জল বসন্ত হয়
শহর হতে গ্রামের উৎসব মুখর জনতার।
দুপুর গুলো প্রচন্ড তাপের দাবালন
আর গোধূলি বেলা যেন সাজানো মরন ফাঁদ।


তুমিহীন গোলাপ বাগানে ফুলের পরিবর্তে স্তুপ হয়
অনুরা রমনীর গর্ভপাতের মাংস,
তুমিহীন ফাগুনে আগুন লাগে
হেমন্তের পাকা ধানে চর জাগে,
রসালো মধু মাসে গাছে গাছে শোভা
হরণ করে গুচ্ছ গুচ্ছ মরা ভ্রোমর।
তুমি ছাড়া প্রত্যুসের উষারাঙ্গা আলো হতে
প্যারাট্রুপারের মত নেমে আসে সিফিলিসের জীবাণু,
অভিনব অস্ত্রপচারে অপসারন করা হবে পৃথিবীর
সব সঙ্গম প্রিয় পুরুষের শিন্ন।


আজ তুমি নেই
ফিরে আসার কপাট ও অবরুদ্ধ
কোন পরিবর্তনের স্রোতে ভেসে যায়নি কিছু,
কিছুটা আত্ব অভিমান আর সংকল্পের দ্‌হনে
আমি ভালো আছি, সবাই ভালো আছে, ভালো থাকে।