আমি নই কোন চন্দ্রালোখ বিজয়ী বীর কিংবা
ধন কুবেরের মত রাতারাতি হ্‌ওয়া মহান,
ক্ষুধা আর বঞ্চনা যার নিত্য সঙ্গী
আমি সেই কৃষক পিতার গর্বিত সন্তান।


যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে সবাই যখন ব্যস্ত ভীষন
সঞ্চয়ের তরে স্বার্থ ও অর্থ আহরনে
বাবা তখন ক্লান্ত প্রায় অনাবাদি জমিতে
আদিম প্রচেষ্টায় ফসল উৎপাদনে।


রোদে পুড়ে তামাটে শরীর নিয়ে ভোর হতে
সন্ধা অবধি অন্যের জমিতে করে যেত বর্গা চাষ,
সিংহভাগ ফসল যেত জমির মালিক নুরুর কাছে
বাবার কপালে জুটত শুধু ই ব্যর্থতার হা হুতাস।


তিনি একবার সখ করে তৈরী করেছিলেন ধানের গোলা
যেন পরের মৌসুমে অনেক ধান হবে তোলা,
বছরের পর বছর যায় কিন্তু বাবার
গোলা কখনো আর হয়না পূ্র্ণ
শুন্য গোলার মত বাবার স্বপ্ন গুলো ও হয় জরাজীর্ণ।


আমি গর্বের সাথে বলি বাবা আমার
প্রান্তিক কৃষক ছিল এখনো আছে,
আমি ও একদিন কবিতার কৃষক হব
শুধু এই প্রেরনা চাই বাবার কাছে।


বাবার রোদে পোড়া তামাটে শরীর
আমার কবিতার অনুপ্রেরনা,
বাবার প্রতিটি ঘামের ফোঁটা
আমার এক একটি কবিতার শব্দ,
বাবার উৎপাদিত শস্য দানা
আমার কবিতার প্রতিটি লাইন।
আমি আমার বাবার কথা বলছি
আমি সমগ্র বাংলার কৃষক পিতার কথা বলছি,
তাদের প্রতিটি সন্তান হয়ে উঠুক
এক এক জন সফল কৃষক।
যদি আবার জন্ম হয় এই বাংলায়
আমি কৃষক হবো,
আমি কৃষাণী মায়ের সন্তান হবো।


২০,০৭.২০১৪