আমি কোটি বছর ধরে সুখ খুজিঁতেছি
অন্যের তৈরী সুখের নীড়ে,
আমি হাজার বছর হতে শান্তি আহরনে
আছি অসংখ্য ভুল মানুষের ভীরে।


বাল্যকালে একবার আয়নার সামনে দাড়িঁয়ে
নিজের প্রতিবিম্বকে আপন মনে করে
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, এই বুঝি শান্তি এল!
না শান্তি নয়, ভগ্ন কাছের টুকরোয়
কোমল শরীর রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত হয়েছিল,
সাথে স্বপ্ন গুলো।


কৈশরের শুরুতে এক বালিকার সু নয়নে
দেখেছিলাম আমার কোটি বছরের সুখ,
তাই বক্ষে ভালোবাসা ধরে পেরিয়েছিলাম
হাজারটা নিষিদ্ধ পথ, সব স্বপ্ন গুচ্ছ করে
অঞ্জলি দিয়েছিলাম তার চরণে,
কিন্তু হায়! কপালের দায় প্রিয়ার সুনয়নে
হঠাৎ দেখি আমার তরে জমানো
এক গভীর অমাবস্যার অন্ধকার।
ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম শত সহস্র
যোজন দূরে এক অজানা পরিবেশে।


জ্বলন্ত যৌবনে ভীরু পায়ে গিয়েছিলাম
নিষিদ্ধ পল্লীর কল্পনার আবদ্ধ ঘরে,
সারা রাত নিজেকে হারিয়েছি শরীর সংঙ্গমে
আর সুখ খুজেঁছি বার বার এই বুঝি সুখ!
না ইহা সুখ নয়, কেবল ই ক্ষণিকের উদ্মাদনা।
কুমারত্বের বিনিময়ে নিজের চিরচেনা শরীরে
বহন করেছি অসংখ্য ঘৃণিত জীবাণু,সিফিলিস
আমি পাপী, আমি অপরাধী।


অনুশোচনা অঙ্গারে মন যখন এলোমেলো
এক গোপন রোগ আমায় কাছে টেনে নিল,
প্রবল ভয় আর অসীম সুখের আশায়
আমি পাড়ি দিয়েছিলাম পবিত্র দেবালয়।
অনেক সময় অতিবাহিত করে বুঝি
ইহা শান্তি নয়, শান্তির নামে কিছু ধর্মীয়
পান্ডার অবৈধ স্বার্থের জয়, মানুষের বিশ্বাসকে
পুজিঁ করে ব্যবসা চলে,
জীবনের প্রয়োজনে সব হয় এখানে।
দেবালয়ের মাঝে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম
সেই কল্পানার নিষিদ্ধ অভিপ্রায় ভক্তির নামে।


আমি কোটি বার সুখি হতে চেয়েছি
বালিকার মিথ্যে প্রণয়ে,
আমি হাজার বার শান্তি খুঁজেছি
পান্ডার তৈরী দেবালয়ে।


১৯.৩.২০১৪