জীব্ন চলে ধীরে ধীরে
আবহমান নদীর মাস্তূলে
বয়ে যায় নৌকা,ভীড়াতে চায় তরী;
মেলে না খেয়া, রয়ে যায় তরী।
কিছু তরী রয়ে যায় কিছু খুশির ছলে;
জীবন চলে ধীরে ধীরে
আবহমান নদীর মাস্তুলে।।


স্রোতের বন্ধন ছিন্ন চলনে
নানান ঢেউয়ের অভিক্ষেপণে,
জোয়ার-ভাঁটার অন্ধি-সন্ধিতে
যদি পায় খেয়া খনিক এসে;
আশা মিটলেই চলে যায়
অজানার দেশে।।


শত কালবৈশাখী আসলে গগনে
এ তরী রয়না থেমে
মহাকাল ডেকে বলে,
রবে শুধু তর-ঘাটের কর্ম
সাধনে তাপসের ধর্ম।
অঞ্চলে প্রবাহিত পঞ্চবায়ু আঘাতে;
জীবন চলে ধীরে ধীরে
অজানা আশার প্রতিক্ষাতে।।


তরী বয়ে যায় জীব্ন থেমে যায়
নতুন আশার আবির্ভাব হয়।
জীবনুমক্ত, জীবনাশঙ্কা,সঞ্জীবন
প্রাণ, তারুণ্য ও যৌবন;
থাকেনা কখনো স্থবীর ,অবিচল!
চপলতা চঞ্চলিয়া  চলবে
সাধের জীবনতরী আজীবন।।