বাহিব মোরা এই তরণী গাহিব মোরা গান
পাড়ি দেব শত দরিয়া লিখব কবিতা গান;
আজ দামালের বিদ্রোহীতায় ভাঙব শত
অনিয়মের শৃঙ্খল।


মানবনাতো বাধা মোরা আসলে কালবৈশাখী;
গামছা মাথায় দিয়ে মোরা আজি জ্বালাবো
জাগরণের বাতি।।


বাংলাদেশের শত তরুণী দিয়েছে আত্মহুতি
গেয়েছে তারা সময়মত জাগরণের গান;
শত বিভিষিকা পাড়ি দিয়েছি মোরা মাথায়
বইয়ে জাগরণের বান।।


যখন এসেছে পরাজয় এ সমাজ থেমে নয়
সেজেছে নতুন করে জয় এনেছে সোত্-কণ্ঠে
জীবনের বিনিময়।।


কলুষিত সমাজ ছিলনা পরিচয়, অজ্ঞানতায়
জ্বেলেছে আলো অজ্ঞাতসারে মর্মস্পর্শী
শিক্ষার অবয়ব ছায়ায়।।


শিক্ষা! শিক্ষা শিখিয়েছে মানবতা, বিবেকবোধ
দিয়েছে কাণ্ডজ্ঞান ; বলেছি আমি এটাও
জাগরণের জয়গান।।


যখন আমরা অস্ত্রহীন বলিলাম পাটাভারি বুকে
বজ্রকণ্ঠধারী জাগরণের উত্-কণ্ঠ ধরে জরাজীর্ণ
নরনারী কণ্ঠে ।।


তাদেরই কণ্ঠ যাচিয়া বলিলাম বজ্রস্বরে-
ওগো পথিক ভয় কেন পাও ভয় যমুনার অন্তে
পাড়ি দিয়েছি পদ্মা মেঘনা; নামব মোরা
মহাসাগর প্রশান্তে।।


কলমের আগায় আছে আমাদের বিদ্যা শিক্ষার
ধার ;নানান রঙের মর্ম শিখায় হয়েছি আমরা
জাতির কর্ণধার।।


অস্ত্র যদি ধরতে হয় ধরব মোরা অস্ত্র; তবুও
নিরস্ত্র, ধ্বংস করে ছাড়ব ঐ বিভিষিকাময়
কালো চেহারার আলোরূপী যন্ত্র; তবুও
ভুলবো নাকো জাগরণের মন্ত্র ।।


জাগরণের মন্ত্র পড়ে উঠব মোরা জেগে;
ফুটাবো হাসি , ঘুচাবো দুঃখ মোরা
জাগরণের গানের অবয়ব সংস্পর্শে।।