এক অভাগির গল্প বলি
শুনো দিয়ে মন
অভাগির মার কষ্ট মনে
ছিল না তার ছেলে নামের ধন।


তিনটি কন্যা রেখে অভাগির
বাবা গেল মরে
কোনোমতে দিন কাটাতো
খেটে মহাজনের ঘরে।


অভাগি একদিন বুদ্ধি পেল
পাশের শেফালির কাছে
ঢাকা শহর গেলে নাকি
অনেক চাকরি আছে।


তাই অভাগি অকালেতেই
ছাড়লো বাপের বাড়ি
শেফালির হাত ধরে স্বপ্নের
ঢাকায় দিল পাড়ি।


গার্মেন্ট্স-এ চাকরি  জুটলো
মায়না হাজার তিন
মা-বোন নিয়ে অভাগির
কেটে যাচ্ছে দিন।


কিশোরী ছেড়ে অভাগিটা
যুবতিতে দিল পা
কতক যুবকের চোখে এখন
নাই তার তুলনা।


নাগর একটি এসে বলে
করবো তোমায় বিয়ে
দিতে হবেনা তোমার কিছু
আনবো তোমায় সব দিয়ে।


অভাগির ভাগ্যে ঘর জুটলো
জুটলো নতুব বর
মা-বোন থেকে অভাগি
হয়ে গেল পর।


মায়না যা পায় অভাগি
নাগর নেয় সব কেড়ে
বলতে গেলে নাগর বলে
ফেলবো তোকে মেরে।


বেঁচে থাকার মানে যখন
অভাগি খুঁজে নাই পায়
বাঁচার জন্য মানিক
একটি দিল বিধাতায়।


ছেলেকে অভাগি শিক্ষিত বানাবে
বিদ্যার আলো দিয়ে
কালকেই ছেলেকে ভর্তি করাবে
সকুলেতে গিয়ে।


ছেড়া কাপড় ময়লা মাখা
ছিল অভাগির গায়
তাই দেখে প্রধান শিক্ষক
আঁড়চোখে তাকায়।


"কয় টাকা আয় কর
এই শহরেতে
খরচ দিয়ে পারবে বাপু
ছেলেকে পড়াতে?"


পারবো স্যার তিন হাজার টাকা
মাইনে আমি পাই
আপনারে স্যার বেতন দিব
আমার খাওয়ার দরকার নাই।


ভর্তি ফি বিশ হাজার
বেতন পাঁচ হাজার করে
তাই শুনে অভাগির মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পরে।


দয়া করেন ওগো স্যার
মনে যদি লয়
ছেলেকে বড় শিক্ষিত বানাবো
খুবই স্বপ্ন হয়।


অভাগির ছেলের শিক্ষিত হওয়া
স্বপ্নেই থেকে যায়
কষ্ট নিয়ে অভাগিটা
জীবন হারায়।


মোহাম্ম্দপুর, ঢাকা।