আজ সন্ধ্যায় ঢাকাই রাস্তায়
এক জওয়ান ভিক্ষুক নারী
হঠাৎ কান্নাজড়িত ভারী গলায় বলে উঠলো
"বাবাগো কয়ডা টেহা দ্যাননা
বাচ্ছাডারে কিছু খাওয়াই "


অমনি চোখ রাঙিয়ে ধমকে উঠলাম আমি
"শালি কাজ করতে পারো না কাজ!
হাত পাতা  খুবই সহজ! তাই না!"
টাকা! গায়ে লাগে না!


অথচ গত কয়েকদিন আগে
এই আমিইনা খাবলে খেয়েছিলাম!
স্বামীহারা সন্তান দায়গ্রস্থ সালেহার
মাংসল দেহ
নিভৃতেই আমার গৃহ ছাড়লো সালেহা
জানলো না কেহ!


গতপরশু মসজিদের সামনে জটলা বেঁধে
একদল মুসল্লিমত লোক
বেদম পেটাচ্ছে এক জুতাচোর
কিছুই বলছে না কোনো লোক


উল্টো আমিই হেঁকে উঠলাম!
বললাম
শালাকে মাটিতে পুঁতে ফ্যাল
একদম; শালা হারামখোর
জুতা চুরি করো মুসল্লির!
অথচ প্রতিদিন ফজরের শেষে
সাবল কাস্তে দিয়ে আস্তে আস্তে
আমিইনা ইঞ্চিইঞ্চি আল কাটি
ছমির মিয়ার জমির


প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাতাসের গায়ে
আড়ি পাতি; শুনতে চাই
হায় হায়! যায় যায়!
কার মেয়ে ! কার বোন!
পোয়াতি হলো কোন প্রেমিকের কারণ!


এগ্রাম ওগ্রাম ছড়িয়ে বেড়াই
নাক ছিটকাই
আওড়াই রঙিন রসাল চটি!
আর হাঁসি টিমটিমে মিটিমিটি  
অথচ গত সপ্তাহে  
এই আমিইনা ঢাকায় গিয়ে!
লাগিয়ে এসেছি দুদুটা তরতাজা মাগি!


আমাকে চিনছেন নাতো কেউ
আমি চলমান আমিই ঘটমান
আমি ভবিষ্যৎ আমিই অতীত


আমি মোড়ল আমিই মাতবর
আমিই সমাজের ভীত
আমি সাহেব আমিই নায়েব
আমি মোল্লা আমিই পুরোহিত


হ্যাঁ, আমি আর কেউ নই
আর কেউ নই
আমি মন্ত্রী আমিই সান্ত্রী
আমি রাষ্ট্র আমিই রাষ্ট্রপতি
আমি রাজা আমিই রাজ
দরাজ গলায় বলতে চাই
হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি আমিই এই সমাজ।