আমি যখন অবচেতনে বিপ্লবকে কল্পনা করি
তখন
শিংওয়ালা মহিষের বাতান
চৈত্রের দুপুরে রাখালিয়া গান
ফসলের মাঠ
বেদিয়ার ঘাট
খরস্রোতা ছোটফেনী নদির
বয়ে চলা সর্পিল দুকূল
শিশিরের গন্ধমাখা সফেদ কাশেদের ফুল


হলুদে সবুজে মাখা আধপাকা ধান
দোয়েলের শিষ কোকিলের তান
বেজে ওঠে আরসকল বিনম্র সুন্দরের জয়োগান---


মতিঝিলের সুবিশাল ধবধবে বক
শাপলা আর দোয়েলের চত্ত্বর
কদম ফোয়ারা
অপরাজেয় বাংলা
রাজু ভাস্বর্য
শহীদ জিয়ার নাম মুছে দেওয়া
শাহজালাল (রঃ) বিমান বন্দর
তার সামনে
লালনের আধখানা একতারা মূর্তি ভেঙ্গে
আল্লাহু আকবর
ঢাকার পিছঢালাসব রাজপথ
ধর্মনিরপেক্ষতার মেকি ঢামাডোল
সাম্প্রদায়িক স্লোগান
স্টেডিয়ামের গেইটে
মনুমেন্ট অব শেখ মুজিবর রহমান
বস্তি বাড়ি আর বড়সড়ো দালান
স্বৈরাচারের রাজ সিংহাসন
দেবি থেমিস কিংবা জাস্টিসিয়ার  
চোখবাঁধা মূর্তি
মায়ের শরীর খেয়ে শকুনির গালভরা
ফুর্তি
গণতন্ত্রের গায়ে মাখা সফেদের কাফন
জঙ্গি তকমা নিয়ে দুমাসের শিশুর
নিদারুণ দাফন


উন্নয়নের জোয়ারে রডের বদলে বাঁশ
সীমান্ত কাঁটাতার
ইয়াবার চালান ফেলানির লাশ


তনু মিতু সাগর রুনি খাদিজা বিউটি
পূর্ণিমা থেকে শুরু করে হজরত আলীকে
পিষে যাওয়া নিরপরাধ ট্রেন


মধ্যরাতে পুরো জগতটাকে ফাঁকি দিয়ে আমার চোয়ালে আঁকা এলিনার মৃদু চুম্বন
আমার পৌরুষমাখা আমাদের শেষ সন্তান


সবই আমার চোখে
নগদ নগদ তাণ্ডবের মত ভেসেভেসে ওঠে
সকলই সমান শক্তি নিয়ে আমার সন্মুখে;
আমার সন্মুখে মূর্তিমান বিপ্লব রূপে প্রতিভাত হয়


আমি তখন বজ্রের সকল নিনাদকে মুষ্টিবদ্ধ হাতে নিয়ে
চিৎকার করে বলতে থাকি
ভয় নেই ভয় নেই আর
আমি এসে গেছি আমি এসে গেছি
আমি সাহস; তোমাদের সন্তান