আগ্রাসী বৃষ্টির দ্বিস্তর নিরাপত্তা বলয়
ভেদ করেও সীসাময় শহুরে রক্তাক্ত-
বাতাসগুলো ঢুকে পড়েছে আজ কামরায়,
হীমশিতল আবেশে নিশ্চিদ্র ঘুমের ঘোরেও
শহুরে বাতাসেরা তীব্র হুঙ্কারে হুঙ্কারে ধমকায়,
গুমোট অন্ধকারেও বাতাসের উন্মাদ চোখগুলো
কেবল ক্ষিপ্র ব্যাঘ্রের মত ঝলসায়!


প্রবল আক্রোশে বাতাসের শতহাত
শত পা চেপে বসে আছে আজ বক্ষে,  
বীর বিক্রমে হাত পা ছোড়াছুড়ি
যতই করি, আজ নেই বুঝি রক্ষে?


এইসব শহুরে ক্ষ্যাপা বাতাসেদের-
একটাই দাবি, এরা আজ খুন চায়,
পিনপতন নীরবতা ভেদ করে বিকট
আর্তনাদে, ক্ষুধিত সিংহের মত গর্জায় ।


অথচ, একসময় এইসব বাতাসেরা ছিলো-
কেবল সাধাসিদে আর কেবলই অসহায়,
আমাদের নিষ্ঠুর যান্ত্রিকতায় নিষ্পেষিত
বাতাসগুলো জেগেছে কেমন প্রতিশোধ নেশায়!


ঝরঝর বৃষ্টিতে থরথর কম্পন
আকাশের গর্জনে কত ক্লেদ ঝরে যায়,
অদম্য বাতাসেরা ঝরে না কভুও-
কেবল সীসাময় বিষাদের কলঙ্ক বয়ে যায়।


বিশ্রাম নেই, বিরাম নেই, অবিরত সময়ে
মেতে থাকে সদা,শুধু খুন চায় বদলায়,
রক্তাক্ত বাতাসেরা আমাদেরই দেয়া ঘায়ে
পূর্বপুরুষেরই ক্ষত বয়


দুর্জয় বাতাসেরা দুর্দম আজ দুর্বিনীত
সেজেছে কেমন! ক্ষ্যান্ত হবে শুধু বদলায়,
বেঁচে থাকার তাগিদে এইসব সংঘবদ্ধ
বাতাসেরা আসলেই নিরুপায়,
তাই,উত্তরাধিকার,মৌলিক অধিকারের
মতই, বাতাসেরা আজ শুধু খুন চায়।