-----------
হ্যাঁ ঠিকই বলছি
সব শালারা কবিতা বোঝেন না,
কবিতার বই কেনাতো দূরের কথা
কবিতা পড়েননই না এঁরা!
অর্থের সমীকরণে ল্যাম্পপোস্টের মত
পাহারাদার দুটি চোখে ;
শুধুই টাকার অংক নাচে! সময় কই!
তাছাড়া
কবিতা এঁদের কাছে পাগলের প্রলাপ!
তাহলে কবিরা কী করে বাঁচে!
এই যে, যে সব শালা কবি হতে চায়!
কিংবা কবিতার কাছে! যারা সুধা যাঁচে
বুঝুক না বুঝুক! তারাই,
হ্যাঁ, তারাই কবিতা পড়েন।
কবিতা কেনা যায় না,
কবিতা এদের কাছে অমূল্য রতন
কবিতার বই হাদিয়া করেন,পরম যতনে;
সমাদরে শ্রদ্ধাভরে পড়েন প্রতিটি ছত্র!
পাকস্থলিহীন কবিদের দুস্বপ্নে ছিটায়!
অন্তত কিছুটা হলেও বাঁচার রসদ
দুটাকার ফুলকপি তিরিশ টাকা হয়
সিন্ডিকেটের প্রকোপে!
চালের বাজারও এসব পালের
গোদাদের হাতে!
বাড়িয়ে দেন দুচার আলাপে।
এবার এক হও যত বাউণ্ডুলে সমাজ!
হুঙ্কার ছাড়ো বজ্রনিনাদে আজ
ভাঙো যত আছে সংকোচ লাজ---
দুচার দণ্ড নিকোটিন কম গিলে ;
জমানো টাকা থেকে কিছু খসিয়ে-
এবার গণহারে কবিতা হাদিয়া করো;
একুশের মেলা থেকে।
দেউলিয়া হতে হবে না
জীবনের বিজনেসে এবার বেনিয়া সাজো
সেজে যাও দেখি জীবনের সওদাগর!
দেখি একটি বলয় একটি সিন্ডকেট
গড়ে তুলতে পারো কীনা!
অন্তত বেঁচে থাকবার।