নর্দমাজলের শব্দতীর যেন ছুটছে
ঢেউয়ের খুরের মত,
এখানে রাত্রিরা কামার্তযাত্রীর
সাথে বিষাদসঙ্গমে রত।


এসব উর্বশীরাত্রির জঙ্ঘায় হয় বিষাদের চাষ,
কুয়াশাযাত্রীরাও করে রাত্রির আদিম সর্বনাশ।
বেশ্যাপল্লী থেকে মৌ-লোভী মৌলবির গাঁয়,
এসব ডবকারাত্রিরা অগত্যাই সম্ভ্রম বিকায়।


এখানে রাত্রির বুকচিরে স্যুয়ারেজের
নালায় সভ্যতার বর্জ্যজল নামে,
রাত্রিদের কান্নায় জল নামে না বেদনালেখ্য
লিখা থাকে সভ্যতার নীলখামে।


এখানে রাত্রিরা খেটেখুটে মরে জানা
অজানা মরদের বিছানায়,
রাত্রিদের উদরে কিলবিল করে মানুষ পশু
কিংবা ইঁদুর ছানায়।


এখানে রাত্রিরা কামার্ত সভ্যতার বড়ই আপনজন,
তবুও সভ্যতার তরে রাত্রিরা ব্রাত্য আর কেবলই আকিঞ্চন।


সভ্যতার ধর্ষণে রাত্রিদের লেভিয়া মেজরা
লেভিয়া মাইনরা ক্ষত বিক্ষত,
দুটাকার মলম কিংবা আসামিলতার
নির্যাস মেলে না অসহায়রক্ত ঝরে অবিরত।


এখানে রাত্রিরা মতে-অমতে নিয়মের যাঁতাকলে
সতীত্ব হারায়,
আসলে এখানে রাত্রিরা বড্ড বেগতিক আর বড্ড অসহায়।