ধরণীর দীর্ঘশ্বাসে মহুয়ার বন
যেনো মেতেছে আজ মরুর খরায়,
অবিশ্বাসী প্রকৃতির কষাঘাতে বিবর্ণ
সবুজ ছেয়েছে যেনো নীলাভ জরায়।


চারিদিকের নিদারুণ নিস্তব্ধতায়
গুমোট হাহাকারের উন্মাদ ধ্বংস ধ্বনি,
নেই প্রতিবাদ, সু-বোধও পালিয়েছে
ঐসব ধ্বংস সাইরেন শুনি।


শীতল রজনীরা লুকায়েছে ভূতলে
নেই আজ কোনো যাদুঘরে,
দিনেরা সাক্ষী দেয় সু-বোধের
বিপক্ষেই, গাদ্দার সভ্যদের বিচারে।


উদ্দাম রাতের বক্ষ বিদীর্ণ করে, নাচে
মীরাবাঈ যেনো এক মাংসল কাম,
কামাতুর চোখের দৃষ্টিতে প্রেমের
করব, শ্মশান হয়েছে যেনো ধরাধাম।


সভ্যতার নিরেট গাদ্দারিতে প্রসূতিরাও
যেন মানব জন্ম দেওয়া ভুলে গেছে,
এখানে আনাচে কানাচে হায়েনার বংশ
আর নরপশুতে সব ছেয়ে গেছে,
বিবেকের পচনে মানবেরা সব, শবে
লুকায়ে জনমের তরে যেনো হারিয়েছে।


ভোজের আয়োজনে সরাইখানাগুলোতে
ভাগাড়ের রূপ, চলে হাভাতে শকুনের রাজ,
নিরীহ বিন্দাবনে কামাতুর পশুরা
গড়েছে যেনো নিজস্ব স্বরাজ।


সৌখিন ডুবুরিরা দেখি, সিন্ধু সেচে
যেনো কী সব তুলে আনে!
মানবের ধ্বংস অবশেষ, কঙ্কাল  
ফসিল  কী না কে জানে?


দেবদূত সব কলরব ছেড়ে, উদ্যত
ডানাগুলো গুটিয়ে ফেলেছে লাজে,
বিমূঢ় ঈশ্বরও আজ অসহায় পায়রার
খোপে, নিজের অস্তিত্বের খোঁজে।