নারী,এমন এক বন্ধ্যা বাতিকগ্রস্থ সময়ে তুমি এলে ;  
জগতের সকল কবিরা বিহব্বল সময়ের
ঘোরে কেমন ঘুরপাক খাচ্ছে !
শব্দের দুর্ভিক্ষ লেগেআছে কবিদের জনপদে,
নান্দনিক শব্দগুলোসব জ্বলেগেছে হিরোশিমা নাগাসাকিতে!
যুৎসই উপমাগুলোর কবর রচিত হয়েছে সেই কবে; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে!
তোমাকে সাজানোর মত কোন আভরণ
আমার কাছে আর অবশিষ্ট  নেই নারী।


আমাকে স্পর্শ করার ক্ষমতা ;
খাদ্যাভাব ক্ষুধা বা মঙ্গা কোনটারই নেই নারী;
এমন শব্দাভাব চলতে থাকলে আমি ধু্ঁকেধুঁকে মরেও যেতে পারি।


যৌবনের এই তপ্তদুপুরক্ষণে;
আমি হলফ করে বলতে পারি,
মেকি সভ্যতার সকল বিলাসবসন খুলে ;
তোমার বুকের ঐ উঁচু পাহাড়যুগলের চূড়া;
একবার যদি আমাকে দেখতে দাও নারী!


তুমি দেখবে;
কেমন হন্তদন্ত হয়ে নিমিষেই কুড়িয়ে নেবো ;
নিত্যনতুন শব্দের রাশি
কী বর্ণিল বুননে গেঁথে দেবো মালাখানি
তোমার গলায়;
কেমন ঝুলিভরে ভরে নেবো উপমার তুলি;
কী একটা জগদ্বিখ্যাত জলছবি এঁকে
দেবো তোমার!


বিফলে মূল্যফেরতের সঙ্গতি আমার নেই নারী,
কথামতো কাজ না হোলে;
ওভাবে তোমাকে দর্শনের অপরাধে;
আমার চোখদুটি উপড়ে নিও তবে নিজহাতে।