কোন এক সুবর্ণ সময়ে ঘোড়ার বেগে
আমি ছুটেছি কত!


তোমার নিটোল তন্বী মুখশ্রী দেখবো বলে
কত  কত মাইল হেঁটেছি
তোমার হেঁটে যাওয়া দেখবো বলে
নাওয়া খাওয়া ভুলেছি
তোমায় একটা চিঠি লিখবো বলে কত দিস্তা
দিস্তা  খুইয়েছি
জানালার পর্দায় একবার উঁকি দেবে বলে
কত নিষিদ্ধ পথ মাড়িয়েছি।


অতঃপর কোন একদিন আলতো পরশ দিয়ে
আশাজাগানিয়া দুটি কথা কিংবা কোন
অজ্ঞাত কবিতার দুটি লাইন শুনিয়ে
হারিয়ে গেলে তুমি কোন অজানায়?


এখন আমি নষ্ট ঘড়ির কাঁটার মত নিশ্চুপ পড়ে আছি
সময়ের সাথে আমার বহুদিনের আড়ি
সময় জেগে আছে শুধু জাগি না আমি
সময় বয়ে যায় তো চলি না আমি
চলতে চাইলেও চলতে পারি না যে
আমি যেন নয়া যুগের অচল গোস্বামী।


চলমান ট্রেনগুলো দেখে ঈর্ষায় কাতর হই
বহমান নদীর স্রোত আমাকে পীড়া দেয়
বয়ে চলা সরু রাস্তায় আমি খুন হই
আমার বয়ে চলা হয় না আর
সময় বন্ধ করে রেখেছে আমার চারিধার


যাপিত জীবনের ঝাঁপিতে বন্দী আমি
আদিম আদম!
কোথায় আছো হে তন্বী রমণী কার ঘরের
ঘরণী তুমি?
কারে বিলাও তোমার নিষিদ্ধ গন্ধম!