--------আজগর আলী


অসহিষ্ণু বিশ্ব প্রাঙ্গণে জন্মানো;
বিষবৃক্ষের তলায় বসে সহিষ্ণুতার-
চরম পরীক্ষায় অবতীর্ণ।
জীর্ণকায়ায় প্রতি দিন রাত ;
কাঠ ঠোকরার মত মৃত্যুর দুয়ারে ;
ঠুকতে ঠুকতে চষ্ণু ক্ষয় করে চলছি।


ইঞ্চি ইঞ্চি করে মৃত্যুকবাট দ্বার-
উন্মোচন করে চলছি।
এরকম ধীর গতিতে আর স্থির-
থাকতে অক্ষম আমি অস্থিরতার-
ঊনপঞ্চাশ লেভেলে আছি।


কতজনের কত কিছুতে ধৈর্যচ্যুতি হয় ,
আমি এক বিরল অসহিষ্ণুতা রোগে ভুগছি।
মৃত্যুকবাটে আঘাত হানতে হানতে;
আজ বড্ড ক্লান্ত আমি;


এখানে একবিংশ শতাব্দীর বিদ্রোহী কবিতাটি
লিখে গেলাম;


ক্ষুধায় অন্ন চাই না,
চাল ডালের ছাল চাই না
বেহিসেবি পেঁয়াজির প্রেম চাই না,


হারিয়ে যাওয়া শ্যামের খোঁজ চাই না,
রাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা!
কোনটাই আজ আমি চাই না।
জান্নাতের হুর চাই না, দাউদের সুর চাই না,
বেকুসর খালাস চাই না---


হে বিশ্ব বিধাতা, অসীম করুণার আধার,
অনেক করুণা করে জীবন দিয়েছো; তুমি?
অন্যের করুণায় আর বাঁচতে চাই না,
অন্ন নির্ভর জীবন চাই না,


তাই ;
হে সকল করুণাকারীর স্রষ্টা,
তোমার করুণায় দেওয়া জীবনটা
শেষবারের মত করুণা করে ফিরিয়ে নাও।



শেষ ইচ্ছে!


গত রাতে কোন এক অজানা
অশরীরি আত্মা এসে চুপি চুপি
ঘুমের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে
আমার জীবনের শেষ ইচ্ছেটা জানতে চায়,


আমি :


কোন এক জোছনা রাতে,
হাতে সুরার গ্লাস নিয়ে সাকীর
স্কন্ধে ভর করে কিছুদূর গিয়ে বসে গিয়ে
সাকীর উরুতে মাথা রেখে
ঘুমানোর ভাণ করে মরে যেতে চাই।