এলিনা কোনো নাম নয়


এলিনা
কোনো নাম নয়
আমার সাতাশটি দগদগে মার্চ জমানো সব ক্ষত;
মানুষ নয় ঠিক মানুষের মত


এলিনা
একটি অগ্নিহোত্রি; জ্বলন্ত শব্দ;
শুকনো পাতার নিরুপম অনুপ্রাস
আর অনুপম নৈশব্দ


এলিনা
আমার দেখা প্রথম জীবন্ত কবিতা;
আমার দুচোখে জমে থাকা লাল বিগলিত দুটি পাতা


এলিনা
আমার খরা চৈত্র নির্জন দুপুর;
আমার দেখা প্রথম নাটকের মঞ্চে খুলে যাওয়া; কিশোরীর একজোড়া নুপূর


এলিনা
নীলাকাশজোড়া শঙ্খচিল;
আমার প্রেমিকার চোখ মুখ নাক কালো তিল


এলিনা
কল্প নয় নিরেট বাস্তবতা;
ম্লান হয়ে যাওয়া আমার সকল সজল ব্যথা


এলিনা
নরম রাত আকাশের চাঁদ পূর্ণ তিথির ;
শীতের ভোর ঘাস আর শিশির


এলিনা
আমার প্রতিটি উচ্ছ্বাস প্রতিটি নীরবতা;
আমাদের মায়ের মুখে শোনা প্রথম রূপকথা


আমি রাজা হলে এলিনা সেখানে রাণী
এলিনা
ভয়াল দুর্ভিক্ষের করাল থাবায় দুমুঠো শান্তির বাণী


            


            এলিনার শেষ চুম্বন


এলিনা
ভেবেছি তোমাকে ছাড়া অন্য কিছু
নিয়ে কবিতাই লিখবো না আর
ফুলের সৌরভ পাখিদের গুঞ্জন নয়!
বরং
তোমার মুখ
তোমার চোখ
ওষ্ঠতলে ফোটা জরুল তিল
এসব দিয়েই সাজাবো সকল কবিতার
আজানুলম্বিত শরীর


তোমার কৃষ্ণকুন্তলের ছায়ায় বসেবসে
রচনা করবো শতকোটি মায়া
আমার সকল যৌনতা মৌনতা
কৌশলেই মেখে দেবো তোমার উর্বসী শরীর-গায়ে
তোমার দীর্ঘকায় গ্রীবাদেশে জমা রাখবো
কবিতায় সকল অভিমান
ভেবো না আর কোনো দায় নেই কবিদের
বরং
যুদ্ধের আযান হলেই


তড়িগড়ি করেই
আমার সকল কবিতার লাইন গুজে
দেবো তোমার বিশ্বস্ত অাঁচলে


কয়েকটি মহা-যুদ্ধের রসদ জোগাতে পারে
কেবল আমার কোপালে এঁকে দেওয়া
তোমার কম্পিত ওষ্ঠাধরের শেষ চুম্বন।