-----এলিনা নয়তো!


হঠাৎ গতরাতে জল ঝর্ণার সশব্দ আওয়াজে
আমার ঘুম ভেঙে গেলো
দেখলাম নীল সাগরের মধ্যভাগে রচিত
হয়েছে একটি তরতাজা মেঠোপথ;
তারই কোলঘেষে সাগরের উদ্দাম বুক চিরে
আমার দিকে ধেয়ে আসছে
একটি স্বর্ণালি এলোকেশি বালিকা


কেমন সুকঠিন রূপ তার
সাগরের নীলের মতন কেমন স্ফটিক বরন
বুকের দুধারে তার যেন সদ্য জেগে ওঠা
মায়ার পর্বত
আলবৎ কোন হুরপরি স্বর্গের দ্বাররক্ষী-কে উৎকোচ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে এপথে!


তখনো জলশ্রীর মুখায়বয়ব আমার কাছে
স্পষ্ট হয়নি সেভাবে
নিমিষেই আরও কাছে ঘনিয়ে এলো সমুদ্রের আলোকবর্তিকা
একি! এ আমার এলিনা নয়তো!


ধুৎ ছাই সে কিভাবে হয়!
আমার এলিনা!
আমার এলিনাতো জ্বলে ছাই হয়ে গেছে
সেই সতেরোশ সাতান্নতে
পলাশীর আম্রকাননে


          এলিনার প্রতি অভিমান!


এলিনা


ভেবেছো কি!


কতটা বান এলে ডুবে যেতে পারে কৈলাসের পাহাড়
কতটা আক্রোশে  মরু হয়ে যায় আরালের সাগর!


কতটা যতনে মায়ের কোলে বেড়ে ওঠে নবজাতক
কতটা তৃষ্ণায় বুক ফেটে মরে যায় অসহায় চাতক


কতটা খরতাপে  বিগলিত হয় সুকঠিন পাথর
কতটা ঘূর্ণাবর্তে  ধুলায় উড়ে যায় রাজধানী শহর


এলিনা
ঠিক ততটাই অভিমানে বিধাতার কাছে
কথা দিয়েছি ;
তোমাকে নিয়ে কোনো দিনই ভাববো না আর


            এলিনার সম্মতি!


এলিনা তুমি শুনলে হেসে কুটিকুটি হবে
নিশ্চয়
আজকাল তোমাকে কল্পনায় আমি ভাঙ্গি
আর গড়ি, গড়ি আর ভাঙ্গি


কখনও গাছ
কখনও বনফুল
কখনও নদি
কখনও নোনাজল
কখনও পাখি
কখনও কোলাহল


কি হাসি আসছে না! এলিনা
শোননা
কালতো তোমার নামে একটি
ভুয়া আইডি খুলে ম্যাসেঞ্জারে
নিজেই নিজেকে জানিয়েছি
কবি
তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি আছি