আমিও


রাতের শরীরে জমাট বাঁধে আকাশের ক্ষুদ্রতম ঋণ
একদল আকাশ পালিয়ে বেড়ায়
পিঠে করে জমিনের সুখ
অসুখের আরেক নাম যান্ত্রিক তীব্রতা
ঘাসেদের রক্তমাখা পৃথিবীর দুচোখে
দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে নিরীহ প্রজাপতির মিছিল
সমূলে মাতম করে  জোনাকীর শোকে


প্রবল ঝাঁকুনিতে ঢলে পড়ে গাছেদের পোক্ত আত্মাও!
নিয়ন বাতিতে ঠাঁয় ল্যামপোস্টের স্থবির লাশ
হঠাৎই শুষ্ক তুমি দোনালা নদী হয়ে যাও।


আমি তোমার অপেক্ষাতে;
দীর্ঘ ঊনচল্লিশটি বসন্ত হামাগুড়ি দিচ্ছি
তুমুল শীতের উপকূলে
অথচ এতদিনে আমিও হতে পারতাম শাল  জারুল কিংবা বৃদ্ধ অশ্বত্থ।



ফিরে আসার কথা


তোমার আসার উল্লাসে তপোধ্বনি দিয়েছিলো আকাশের বুকে কয়েকশত বজ্রের শব্দ--
তুমি আসবে এই খবরে জেগে উঠেছিলো
আমাজনের বুকে জমেথাকা কয়েকহাজার মাইল নৈশব্দ--
তুমি আসবে বলে হিমালয়ের কোলে আশ্রয় নিয়েছে ঊনপঞ্চাশহাজার শীত---
তুমি আসবে তাই মৃত গণতন্ত্রও হৃদস্পন্দন
পেয়েছে চতুর ভগবানের নড়েছে ভীত---



মনের খোঁজ


সোনালি সাপের মতন উজ্বল তোমার দুটিচোখ বহে;
যেন একঝাঁক অগোছালো রেলের রাস্তা  সীমাহীন--


গহীন আমাজনের পথে
চলে নিরঙ্কুশের রথে


তোমার মনের খোঁজে হতাশার উপকূলে দাঁড়িয়ে আমি--
হাতে নিয়ে নাসার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দূরবীন।