আর সব পোয়াতির মত প্রণতীও তার-
আঁতুড়ে জন্ম দিলো এক টুকরো চাঁদের মত ছেলে,
চাঁদেরে বুকে জড়ায়ে প্রসবের বেদনা বিষাদের
জ্বালা- যত নিমিষেই গেলো ভুলে।
কে জানে ভবিতব্যের কথা,ভাগ্যদেবতা কোন
কালে কি লিখিয়াছেন ভালে!


নিয়তির ফেরে দুর্গতি নিয়ে চাঁদেরে রাখিয়া-
আঁতুড়ে প্রণতী ছুটে এতটুকুন কাজের আশ,
আজন্ম পাপের প্রায়শ্চিত্ত; বুঝি ক্ষুধা,
দারিদ্রতা আর অভাবের সাথেই বসবাস!


নিঃস্বাসে তার রাজ্যের হাহাকার -------


আঁতুড়ে বসিয়া চাঁদ হাসে তীব্র উপহাসে
সৃজিলা বিধি মোরে কোন নির্মম পরিহাসে!
বাতাসে তখন রাক্ষসী ক্ষুধার আগমনীর এ্যালার্ম বাজে,
আজন্ম ক্ষুধাও যে লুকিয়ে রয়েছে তার পাকস্থলী আর হৃদপিণ্ডের ভাঁজে।
ক্ষুধার কলঙ্ক লেপ্টে গায়ে তবুও চাঁদ বারে বারে হাসে,
তীব্র উল্লাসে চাঁদের হাসিতে যেন কান্না বিষাদ ভাসে।


কান্না-হাসির ভাষা মিলেমিশে একাকার-----


ঐ যে প্রসূতি কু্কুরীর ছানা পোনা সব শেয়ালে খায়
রিজিকের মালিক রাজ্জাক ; কার ধন কে পায়!
নিরুপায় কুকুরী, ঢু্ঁকরি ঢু্ঁকরিয়া কাঁদিতে চায়,
দুগ্ধভর্তী স্তনের নির্মম জ্বালায় দুগ্ধবতী
কুকুরীর পরান যায় যায়,
তীব্র বেদনার কষাঘাতে কুকরীর স্তন
প্রণতীর চাঁদের মুখেই ঠাঁই পায়।


মানব শিশু হতে পারে যিশু,পশুর সাথে বুঝি মিলেমিশে একাকার ---------


-----------       --------------
পরিশিষ্ট--
একজন
         অ-কবির অভিলাষ


কোন একদিন
কোনো মুক্তির মিছিলে
যদি আমার লিখা একটি লাইনও
স্লোগানে স্লোগানে ধ্বনিত হয়
সেদিন গোরস্তানের
মাটির চাপও আমার কাছে
নস্যি মনে হবে, হ্যাঁ নস্যি।