চারদিক ঘিরে আছে চতুষ্পদ অন্ধকার
দূরের তারারা অহিফেন ঘোরে নিমগ্ন
ভাষ্কর্যপ্রতীম নির্বিকার,
এখানে আলোক জ্বলে না আর,
রাতের বুকে ধু-ধু মরু রাজ করে
নিদারুণ  হাহাকার।


অনেক দূরে সোজন বাদিয়ার ঘাটে
নৌকার মিছিল মিটিমিটি জ্বলে!  
ওটা আসলে আস্তরণ  কেবল মরীচিকার,
দুস্তর পথের যাত্রী ছুটছে একা অজানার
পথে,ভাঙারথে বিস্তর পথ পাড়ি!কী করে?
মনের কোণে জাগে মেঘের বালুচর।


তবুও মুসাফির এগিয়ে চলে নির্ভয় দূরাকাশ সেতারা
নিপাট পদচিহ্ন এঁকে এঁকে মায়াজালে
আড়ষ্ট কুণ্ঠিত রাতের সওয়ারি,
হাজারো আলোকবর্ষ দূরের প্রক্সিমা সেন্টোরাই,
লুব্ধক হতে নির্গত ফোঁটা ফোঁটা আলোকবিন্দু পড়ে, টুপ টুপ।


সন্তোপর্ণে নিশ্চুপ পথচলার নীরবতা ভাঙে
ঝিঝিপোকার নৈশব্দের আওয়াজ!
চোর ডাকাত হার্মাদের ভয় কাটে
ঝিঝিপোকাদের নৈশব্দের ভারে---
নিজেকেই তখন ভয়াল ঘূর্ণিঝড় বলে মনে হয়।
ঘন্টায় কয়েশোমাইল বেগে ধাবমান যেন
লণ্ডভণ্ড করে দিতে সক্ষম দুপাশের গ্রাম।


আসলে লুব্ধক সেতারার মায়ায় নিজের
নিরীহ ছবিটাই লেগে থাকে হৃদয়ের দেয়ালে
ছেলে ঘুমানোর গান-ছড়া ছাড়া কোন ভয়াল ছবিই আঁকা যায় না আর।


তবুও একবার দুইবার নিমগ্ন মুসাফির হেঁকে যায়, হুশিয়ার!হুশিয়ার!হুশিয়ার!
এভাবেই আমরা অন্ধকার বয়ে চলি,
আবার কখনো সখনো নিজেকেই মনে হয় অন্ধকার!
জীবনের পথ কতদূর, সুদূর কোন সীমানার পার! খেটেখেটে অবিরাম হেঁটে যায় মুসাফির, যতিহীন
সময় ফুরায়নাতো আর।