এখন যৌবনের তপ্ত দুপুরক্ষণ বহমান;
অনুক্ষণে চোখে বিপ্লব ভালোবাসা প্রেম শারীরবৃত্তীয় জাগরণ একসাথে নাচে!


হৃদয়ের আনাচে কানাচে  উন্মাদ সারথীরা
কাঁপে বিপ্লব,বিপ্লব যুদ্ধ!  কামের উল্লাসে!
দুটোই যে যৌবনের চাহিদা!
শোণিতে, হরমোনে বয়ে যায় শৌর্য বীর্যের
তপ্ত নদী,


ভণ্ডামির আবরণে আমি ঢেকে দিতে চাই না
আমার যৌবনকে,
ইয়াবা মাদকে খুইয়ে দিতে পারি না বিপ্লবের
শক্তি
দিগ্বিজয়ী ঘোড়াকে বেঁধে রাখতে চাই না
আস্তাবলের ছায়ায়।
ধর্ম রাজনীতি সামাজিক সংকীর্ণতার পর্দায়
আমি ঢেকে দিতে পারি না বিপ্লবের কাঙ্ক্ষিত দুয়ার।


হে নারী!
সমাজের সাথে আড়ি দিয়ে আসো যদি
যৌবন যুদ্ধের রিহার্সালে,


আমি বিপ্লবের সুতীক্ষ্ণ তুলির আঁচড়ে  তোমার সুউচ্চ গ্রীবায় খোদাই করবো নতুন ভূখণ্ডের চিত্র,
তোমার সুউন্নত বক্ষের শাণে শাণিত করবে আমার যৌবনের তরবারি,
রিপুর ঘোড়ায় লাগাবে ভালোবাসার কোমল লাগাম!


তোমার আনিতম্ব কালো কেশদামের
বিরুণীর মত সুশৃঙ্খল করে দিবে আমার
অগোছালো যুদ্ধকৌশল।

তোমার বিশ্বস্ত কোমল হাতে তীর বেঁধে দিবে
বিপ্লবের ছিলায়!


পাটীময় মুক্তোয় বিকশিত হাসির ঝঙ্কারে
উস্কে দিবে ভষ্ম,
বঙ্কিম বিম্বাধরের কাঁপুনিতে তাঁতিয়ে রাখবে
আমার গোলাবারুদ,
সংকীর্ণতার আভরণ ছুড়ে ফেলে
গায়ে মাখবে বিপ্লবের লাল রক্ত,
বৈপ্লবিক কামোদ্দীপনায় উন্মাদ আমি
শুষে নেবো যুদ্ধের রসদ
তোমার সুনমনীয় চিবুকের ঐকিক তারা
সেতারার মত ঠিক করে দিবে আমার গতিপথ


শুধু অধিকারে রাখবে তোমার কৃষ্ণ শানুদেশ,দুর্গম উপত্যকা!
শর্ত জুড়ে দিবে বিপ্লবের,
শর্ত জুড়ে দিবে বিজয়ের,
শর্তে জুড়ে দিবে কাঙ্ক্ষিত ভূখণ্ডের অধিকার!


অতঃপর সকল বিজয়ীদের জন্য যেমন প্রতীক্ষায় থাকে ;
তেমনি আমার কাঙ্ক্ষিত পুরষ্কার হবে
তোমার ঘর।


নিষেধের বাধ ছেদ করে;
নারী যদি আসো এভাবে আমার যৌবন-যুদ্ধের
হাতিয়ার হয়ে


কথা দিলাম ; তমশার দেয়াল ভেদ করে
সাত সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ মাড়িয়ে;
রক্তের গঙ্গা পাড়ি দিয়ে,


বিপ্লবের গর্ভে ঢুকে যাবো নির্দ্বিধায়,
কাঙ্ক্ষিত বিজয় ছিনিয়ে আনবো তোমার প্ররোচনায়