এখন আমার দীপ্তহিল্লোল যৌবন;
মৌবনে ওড়াউড়ি করছে তৃষ্ণার্ত মৌমাছির দল,
কোন্দল লেগে আছে পৃথিবীর স্থলভাগ জলভাগ পথেপথে,
একটা তেজোদীপ্ত পৃথিবীর উত্তরসূরী
হতে চায় সভ্যতা।


এখানে যৌবন খুঁজছে আরেকটি সম্ভাবনা;
আরেকটি সফল স্বপ্নের পটভূমি,
এখন এখানে তোমাকে বড্ড বেশি প্রয়োজন।


ভূবনমোহিনীর রূপে তুমি এসো;
তুমি এসো আমার যৌবন জনপদে,
পদ্মরাগিনী প্রিয়ভাষিনী; প্রিয়ংবদারূপে;
তুমি এসো আমার যৌবনের সানুদেশে,
মুক্তোশোভিত গজদান্তিক শোভায় মনলোভার রূপে তুমি এসো,


কোন এক চন্দ্রদীঘল রাতে তুমি চলে এসো
আমার দীপ্তহিল্লোলিত যৌবনসমুদ্রের
কোলে; এক চন্দ্রস্নানে,
তুমি এসো এক উর্বর জমিন মাঠের
নিরঙ্কুশ মালিকানা নিয়ে।


ওখানে জাতপাত ধর্ম রাজনীতি গেলোগেলো বলে ডাকতে থাকুক ধর্মভীরু কাক,
বিলাসবাদী বিশ্বের মালিকানার দাবিতে
ভোগবাদী শেয়ালেরা হুক্কাহুয়া রব উঠাক,
মেকি সভ্যতার লাশে ঠোকর কাটুক
জীবন্মৃত শকুনির ঝাঁক,


আমি উদয়াস্ত পরিশ্রমী কৃষাণের মত
যৌবনসফল কর্ষণে তোমার উর্বর ভূমিতে
পুঁতে দিতে চাই সতেজ সভ্যতার অব্যর্থ বীজ।