চল মেঘ হয়ে যাই মেঘ


চল মেঘ হয়ে যাই মেঘ
তুইনা সোহাগদের ছাদে উঠে
এলিনার ওড়নাটা ভিজিয়ে দিতে চাইতিস!
দারোয়ান চাচার মৃদু চোখ রাঙানি
আর
কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দের ভয়ে
ব্যর্থ হয়ে ফিরতিস বারবার!


এবার তোর আশা পূর্ণ হবেরে চল
মেঘ হয়ে বৃষ্টিরূপে ঝরবো এলিনার
ওড়নায়
শুধু তাই নয়
এবার এলিনার ধবধবে সাধা সালোয়ার
হলুদ সেমিজ লাল কামিজটাও
ভিজিয়ে দেবো অবলীলায়
চল এবার মেঘ হয়ে যাই
চল মেঘ হয়ে যাই মেঘ----



          ব্যস্ততার ফাঁকে


একটা ব্যস্ততা শেষ হলেই
নিয়মমাফিক
ঠিক আরেকটা ব্যস্ততা নিঃশ্বাস ফেলবে
ঘাড়ের উপরে
তাই বলেতো সখের কাজগুলোও ফেলে
রাখতে পারবো না


আজকের বৈকালিক ব্যস্ততা সেরে
আমরা চলে যাবো সাগরের পথটি ধরে
পাশের বেওয়ারিশ দ্বীপে


বসে পড়বো দুজন
সাগরের দিকে নুয়ে পড়া
নারকেল গাছটির ডালে
আমি স্যার আইজ্যাক নিউটনের
সূত্র ধরে
তোমার চোখ দুটি তরজমা করবো
ডারউইনের বিবর্তনবাদের ভাষায়।


            সভ্যতার রঙমঞ্চ


আমরা আছি আমরা ছিলাম
ইতিহাসের শরীর স্তম্ভ জুড়ে
কিন্তু থাকবো না
হ্যাঁ আমরা থাকবো না একদিন
এই লোকালয়ের কোনো পাতায়
পাওয়া যাবে না আর আমাদের


সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত
কিংবা দোয়েল মাছরাঙা কোয়েলের চেয়েও
আমরা বিরল হয়ে যাবো পৃথিবীর বুকে


নগদ নগদ সুখে কর্পোরেট শকুনের দল
খুবলে খাবে পৃথিবীর আবেগ
আমাদের গোড়াশুদ্ধ উপড়ে ফেলবে
ব্যস্ত পৃথিবী


ডিজিটাল পরমায়েশে
চোখের ইশারায় স্মার্টফোনই রচনা করবে
ছড়া কবিতা চিত্রনাট্য  উপন্যাস কিংবা গান
সভ্যতার মৃদু আদেশেই
আমাদের বিলুপ্ত শ্মশান কবর ভেদ করেই
গজিয়ে উঠবে সারিসারি রঙমঞ্চ


          বিনিময় প্রস্তাব


আমি গত কয়েকদিন ধরেই তোমাকে
একটি বিনিময় প্রস্তাব দেবো দেবো
বলে ভাবছি


ধরো, আমার জমানো সাতাশটি বসন্তের
বিনিময়ে তোমার চোখদুটির একটু শীলত
চাহনি যদি আমাকে দিতে;


আমি কথা দিতে পারতাম;
"আমার হৃৎপিণ্ডের প্রতিটি স্পন্দনের অধিকার
লিখে দেবো তোমার নামে"।