সৌরবিদ্যালয়
         আজগর আলী
রচনাকাল ১৮-১০-২০১৭ইংরেজি


প্রতিটি ছাত্রের উদরে ঘা মেরে মেরে পড়তে শেখায়
প্রতিটি ছাত্রের নেত্রে আঘাত করে করে দেখতে শেখায়
প্রতিটি প্রহরের নিদারুণ বৈচিত্রতা, বাস্তবতা শেখায়
প্রতিটি ছাত্রের মেরুদণ্ডে বাড়ি মেরে  লিখতে শেখায়


সময়ের প্রতিটি বাঁক পাড়ি দেয়া একেকটি হোম ওয়ার্ক
সময়ের সাথে ছুটে চলার ছলাকলা একেকটি ফ্রেমওয়ার্ক


সময়-শিক্ষালয়ে সময় নিজেই শিক্ষক নেই কোনো নির্ঘন্ট, ইউনিফর্ম
সময় ছুটে চলে সূর্যের সাথে থামাতে পারে না কোন প্ল্যাটফর্ম


সময়ের খরায় এতটুকুন সময় বের করা একেকটি এ্যাসাইনমেন্ট
সময়ের সাথে যুদ্ধরত প্রতিটি বাসস্থানই একেকটি ক্যান্টনমেন্ট।


এই ধরাতে বোস্টন, হার্বাড,টরেন্টো,অটোয়া, অক্সফোর্ড
যত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পাই
সময়ের মত কোনো মহান বিদ্যালয় এই বিশ্বে নাই
তাই হাবিলাষ করে কই সময়তো শুধুই কেবল সময় নয়
সময় হলো এই মহাবিশ্বের এক সৌরবিদ্যালয়


★★★★★ ★★★★★★★ ★★★★★        


ক্ষুধার গান
  -----আজগর আলী
রচনাকাল ১৮-১০-২০১৭ইংরেজি
        


ক্ষুধার সাথে বসবাস; দারিদ্রতা!
এ মোর দীনতা নয়, নয়কো হীনতা,
এমোরে করেছে মহাবীর মহা-সংগ্রামী যোদ্ধা
করেছে খরস্রোতা নদীসম উত্তাল আর বহতা,
ক্ষুধা মোর গুরু! ক্ষুধার বারতা নিয়ত
শিখিয়ে চলে মোরে নিদারুণ বাস্তবতা।


ক্ষুধা মোর ভাই;দেখিতে যে পাই, জড়িয়ে
থাকে মোরে তখনও, যখন পাশে কেহ নাই,
ক্ষুধা মোর স্বপ্ন ;দেখেছিলাম রাতে কীবা
প্রাতে, এ সব ব্যর্থ সময়ে এসেই তা ফলাই।


ক্ষুধা মোর সই! ক্যামনে যে কই? সুগভীর
আলিঙ্গনে,পরম চুম্বনে,কাঁপিয়ে তুলে মোর অধর,
ক্ষুধা মোর মা! সবাই করিতেছো হা? সবাই
ছেড়ে গেলেও ছাড়ে নাতো ক্ষুধার আদর।


ক্ষুধা মোর জ্যোতি;করে নাকো ক্ষতি
ক্ষয়রোগ,ভয়রোগে বাড়ায় না দুর্গতি,
ক্ষুধা মোর বাবা,বিপথে গেলেই, মারে
দারিদ্রতার থাবা, ফিরে মোর সুমতি।


ক্ষুধা মোর বাহন ;পিঠে তার ঘা মেরেই
ছুটেছি নব দিগন্তে, রচিতে সাতকাহন,
ক্ষুধা মোর প্রেম;শিখয়েছে ভালোবাসা
মোরে, বুঝিয়েছে বাসিতে ভালো হয় কেমন।


ক্ষুধা মোর সুর,ক্ষুধা মোর তান, সুরে
গানে প্রাণের তানে, গাই ক্ষুধিতেরই গুণগান,
ক্ষুধা মোর নয়ন ;তাহার দৃষ্টিতে আমি দেখি
কে মহান কেইবা হীন আকীঞ্চন,
ক্ষুধা মোর ইশ্বর,ক্ষুধা মোর দেবতা ;তাহার
পূজাতে কাটাই দাসত্বের জীবন, কাটাবো আমরণ।