আজ কথা হলো তার সাথে যার চোখের আঁচলে ;
বাঁধাছিলো আমার মন,
যাকে নিয়ে নিয়ত কল্পলোকের রঙীনরাজ্যে ;
ভেসেভেসে বেড়াতাম।
যতন করে বুনতাম তাকে নিয়ে দূরের কোনো দ্বীপে
এক সোনালী স্বপ্নের বসত,
বিরস রজনীগুলোর পাড়েপাড়ে ;কল্পনায়!
তার চুলের বিরুণী দিয়ে নক্সীবুনন গেঁথে রাঙাতাম।


হেঁটেহেঁটে স্বপ্ন কুড়াতে চাইতাম;
নীরবে নিভৃতে তার হৃদয়ের উঠোনে,
বাঁধহীন উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের মত;
ছলাৎছলাৎ তার হৃদয়ের কার্ণিশ দেয়াল;
বাইতে চাইতাম।


সাতসাগর তেরোনদীর উত্তাল তরঙ্গ ;
থামাতে যেতাম তার একটু আশ্বাসের আশ্বাসে,
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে;
তার হেঁটেযাওয়ার গন্ধ-সুঘ্রাণ শুঁকতাম।


চৈত্রের খরদুপুরে বুকফাটা রোধে;
একফোঁটা তাকে দেখে নিলেই হৃদয়জমিন ভিজতো আমার!


জোনাকজ্বলা প্রতিটি রাতের কিনারে কিনারে;
তার অশরীরি হাতদুটি ছুঁয়েছুঁয়ে হাঁটতাম,
ব্যস্ত দিনগুলোর ভীড়ে একটুকরো সময়;
বের করে নিতাম কেবল তাকে ভাববার জন্যেই।


পেশাদার কারুশিল্পীর ন্যায় ;
তার রেখেযাওয়া পদচিহ্নগুলোতে;
একেকখণ্ড সুখের মানচিত্র আঁকতাম।


দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা সেজে;
তার একটু বকুনি কিংবা শাসনের আশায়;
নীড়হারা পাখির মত ঘুরেঘুরে বেড়াতাম;
লুকানোর আশায় তার ভালোবাসার শীতল ছায়ায়


কোনোরূপে কোনোগুণে বুঝানো গেলো না তাকে;
আমার সারাটি জুড়ে জলছবি এঁকেএঁকে
কেবল তাকেই সাজাতাম,
সবচে বড়কথা হলো কোনোভাবেই বুঝাতে পারিনি;
এভাবে সেভাবে ওভাবে আমি শুধু তাকেই ভাবতাম।