আমার  আবার ভয়াল ঠোঁটকাটা রোগ
মুখের উপরে শাদাকে স্বাদ
আর কালোকে বিস্বাদ বলা
বলতে পারেন আমার জঘণ্যতম বদঅভ্যাস
এজন্য আবার নানান মহলের চোখের বালি
হিসেবে আমার তুমু্ল সুখ্যাতিও রয়েছে কীনা!


যাইহোক বলছিলাম
আমাদের নেতাদের কথা
আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কথা
আমাদের ছাত্রসমাজের কথা
বলছিলাম এদের আশ্চর্যরকম বেতসবৃত্তির কথা
বলছিলাম এদের বৃহন্নলাসদৃশ অক্ষমতার কথা
বলছিলাম কতটা বিবেকবর্জিত হয়ে
এরা বিকিয়ে দিয়েছে নিজেদের তল্পীতল্পাসহ


মুজিব জিয়ার লোকান্তরের পর
এদেরকে দেখেছি
কতটা সুনিপুন গোলামি রপ্ত করে
নিজেদেরকে বানিয়েছে
পরিবারতন্ত্রের পাচাটা সেবক
সৃজনশীলতার সকল দ্বার রুদ্ধ করে
গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে
দ্যাশটাকে বানিয়েছে এক অবরুদ্ধ জনপদ


পদেপদে এদের আনুগত্য দেখে মনে হয়
এদের জন্মই হয়েছে দুটি পরিবারের পদলেহনের জন্য
হাজারও লাত্থি উষ্টা ঝাঁটার বাড়ি খেয়েও
এমন তৃপ্তিতেইনা এরা তাকান
দ্যাখলে মনে হয়
যেন এদের বাপদাদাচৌদ্দপুরুষের জন্ম স্বার্থক
আর নিজেদের জীবনখানাও ধন্য


এদের রাজনৈতিক প্রভুদের উদ্দেশ্যে
এমনসব স্তুতিবাক্য এরা হানেন
মানেন চাই না মানেন
পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো ক্রীতদাসও
তার মালিকের অনুকূলে এমন শ্লাঘাধ্বনি উচ্চারণ করেছেন কীনা আমি চরম সন্দিহান


অনেক হয়েছে!
মাননীয় আদালত
এবার আমাকে থামান
নইলে কিন্তু
আপনাকেও জর্জরিত
করবো অপ্রিয়সব প্রশ্নের বাণে
আপনি যাই করুননা মনে


আপনাকেও বলতে হবে


রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবী ছাত্রসমাজ কিংবা
অপরাপর পেশাজীবী
এদের কথা নাহয় বাদই দিলাম


ধর্মাবতার!
কতটা নৈতিক অধস্থলন ঘটলেপরে
আত্মবিক্রয়ের মহোৎসবে কতটা মাতলেপরে


বঞ্চিত মানুষের আশাআকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল বিবেকের শেষ ঠিকানাটাও
করুণ অবস্থায় উবু হয়ে পড়ে শাসনযন্ত্রের পদলেহনে!