এই যে কুরআন বেদ কি পুরাণ
যত আছে পবিত্র-পুত গ্রন্থ,
সকলিতো মানুষেরই তরে
গ্রন্থের তরে মানুষ নয়তো!


সকল গ্রন্থের একই  সারমর্ম
ওরে মানুষইতো মূলমন্ত্র
সেই মানুষেরে দুপায়ে মাড়ায়ে
আঁকড়ে থাকো গ্রন্থ!


আজ সময় এসেছে মানুষের---
আজ সময় এসেছে মানবতার---
সময় আজ শুধুই মানবাত্মার----


তোমাদের ঐ সাধু মুখে চুন কালি-
লাগায়ে কাড়িয়া নেবে সব গ্রন্থ,
শুনো মানুষ জেগেছে মানুষের অধিকার
ফিরায়ে আনিতে লাগে কি সৈন্য-সামন্ত?
জেগেছে চামার,জেগেছে কামার,
চাড়াল-চণ্ডাল মুচি সব জেগেছে
কেউ নেই আর ঘুমন্ত।


তোমরা যারা পুরত যাজক
ধর্মের পিতা ধর্মের ধারক
রাত দিন করে পূজিতেছ, সাজিয়াছ
সাধু মহা সন্ন্যাসী মহা সেবক!


তবে শুনো আমি এক জনম পাপী
আমার তরে স্রষ্টার চির অভিশাপই
মাসে বছরে কদাচিৎ স্রষ্টারে জপি
শুনো আমার সবক,
স্তবকে স্তবকে স্রষ্টারেই পূজিছো তোমরা
মানুষেরে ভাবো শুকর শাবক!


স্রষ্টা কি তোমার কেনা হে পুরত
শুধুই পূজিবে তুমি!
স্রষ্টা কি সৃজে নাই কসাইখানা
কিংবা মেথর ভূমি?
রাখো কি খবর মেথর শাবকেরে
কখন দেবদূত যায় চুমি!
স্রষ্টার যদি কৃপা হয় ঐ মুচি চামারেরে
কি করিতে পারি আমি আর তুমি!


আজো সময় আছে যায়নি ফুরিয়ে-
তোমাদেরও সময় খানি---
গ্রন্থের সবক অন্তরে জড়ায়ে
এসো মানুষধামে নামি,
স্রষ্টারে পূজিতে বাধা নেই তবে
এসো মানুষেরে আগে নমি।


দেবালয় ছেড়ে মানুষের মনে ঠাঁই লও
হে সাধু সন্ন্যাসী আর মুনি,
দুনিয়ার সকল দেবালয় সম
এক মানুষের অন্তর জানি---
মানুষের মাঝে লুকায়ে রয়েছে
যত স্বর্গ-নরকের খনি,
তবে আরতি নৈবেদ্য মানুষেরেই দাও
স্রষ্টার কোন চাহিদা নেইতো জানি।


কেন তবে অত আগর জ্বালাও!
ফুলে ফলে তব আরতি সাজাও!


তবে গায়ে কেন ঐ আলখাল্লা জড়াও
এসো মানুষেরে জড়াও বুকে,
ধর্মের বাণী অন্তরে ধরিয়া
হাসো কাঁদো মানুষেরই সুখে দুখে----