রচনাকাল ২৯-০৯-২০১৭ইংরেজি
              বৃষ্টিস্নাত রাত ২:৩৫ মিনিট


বাহিরে রিনিঝিনি নিক্কনধ্বনিতে বৃষ্টি ঝরছে,
মিলন বিরহে প্রেমের দ্যোতনা বাজছে,
নিভু নিভু বাতিতে এই রাতিতে চলছে
আলো আর আঁধারির খেলা,
মেলা জমেছে কোথাও কোথাও ভালোবাসার-
আবার কোথাও হতাশা জমছে মেলা।


কেউ ভেলা ভাসিয়েছে দুখ সাগরে--
অন্তরে বিষাদের স্বাদ, পাকিয়ে চলছে ঝামেলা--
এ বেলা আমার কোন কাজ নেই,
খাওয়া পরার তাড়া নেই, ক্ষুধার অনুভূতি নেই
কামনার জ্বালাতে লাগিয়েছি তালা।


উতলা মনে কিছু সুখ-স্মৃতি খুঁজে বেড়িয়ে
ফিরেছি শেষে খালি হাতে, শেষ হয়েছে বাতেলা।
নূপুরতালে এই দুপুররাতিতে বৃষ্টি ঝরলেও--
আজ ঝড়ের কোন পূর্বাভাস নেই, তবুও আমার
হৃদপিণ্ডে ঝড় বইছে অবিরত! মেলা!
আমার জন্য অনেকে অনেক কিছুই
হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে!
এবার যে আমার হারানোর পালা।


বাহিরে পালা করে বৃষ্টির মিছিল শোনা যায়
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, যুক্তি চাই,
যুক্তি চাই, যুক্তি চাই।
যখন যে সুরে বাজাচ্ছি আর কি! সে সুরেই
বাধ্য হারমোনিয়াম আর বাদ্যের তালে
বৃষ্টিরা যেন নাচছে আর হাসছে।
এদিকে আমার হৃদপিণ্ডের গতি ঊর্ধ্বগামী
থেকে ঊর্ধ্বগামী,যেন রকেটের মত ছুটছে।
এখন আর বৃষ্টির স্লোগানধ্বনি
আমার কানে বাজছে না।
বাতায়ন-পাশে বসে আছি,
বৃষ্টির ভেজা শরীর আমার শকুনের-
দৃষ্টি এড়ায় না ঠিকই,
কিন্তু, অগ্নিশর্মা কর্ণ-কুহরে বৃষ্টির
ক্ষীণ আওয়াজও আর শুনা যাচ্ছে না।
স্তব্ধমান প্রাণে তখন অনাকাঙ্ক্ষিত শিহরণ--


পরাবাস্তব সত্য হলো:-
ইতোমধ্যে গর্জনমান হৃদপিণ্ডের গতি থেমে
থেমে অবস্থা।
আমি চিকন নালে ঘেমে একাকার ---
আমার চোখে এখন জানালা-গ্রিল,
আলো- আঁধার, ঘৃণা-ভালোবাসা,
হতাশা,ভেলা,খেলা মেলা,ঝামেলা, বাতেলা,
বৃষ্টি, দৃষ্টি, সৃষ্টি কিছু'ই দেখা যাচ্ছে না--
আমি শুধু'ই কেবল মৃত্যুর গর্জন শুনছি।