যদি কোন একদিন সভ্যতার নিদারুণ কষাঘাত;
কিংবা পাকস্থলির সকরুণ টানে ;হৃৎপিণ্ডের রক্তপ্রবাহ থেমে অন্ধকার পথের মুসাফির আমি মরে কাৎ হয়ে শুয়ে থাকি, অচেনা পথে! যদি লাশ হয়ে ভেসে চলি প্রবাহমান কোন নদীস্রোতে!


শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে যদি আমার শব,
খসে খসে পড়ে যদি শরীরের অঙ্গগুলো সব।
রাক্ষুসে মাছগুলো যদি চিবিয়ে খায়
আমার জন্মদাগ, ধর্মদাগ কিংবা এশীয় চোখ!


তোমরা করুণা করে যদি লাশটাকে তুলে
আনো রাক্ষুসে মাছ কিংবা শকুনির গ্রাস থেকে!


তখন  কি তোমরা আমায় কবরে শোয়াবে!
নাকি চিতায় জ্বালাবে!
আগর জ্বালাবে নাকি আমকাঠের
জোগাড় করবে!
মাষ কালাই,রসুন গোলাপজল ছিঁটাবে
না কি, মুখাগ্নি দিবে!


"মিনহা খালাকনাকুম,ওয়া ফিহা নুয়িদিকুম,
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।"
পড়িবে?


নাকি!
“ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানত----
জপিবে?


আমি কীভাবে জানবো?
তোমাদের যা খুশি তাই করো বাপু,
তোমাদেরওতো স্বাধীনতা আছে।


যাই করো বাপু আমাকে বেওয়ারিশ লাশ
নামে ডেকো না। এ আমার অসিয়ত;
অন্তিম বাস না।


ঐ যে কবি স্টালিনের তদন্ত রিপোর্টের
নায়কের মত একটি সার্বজনীন নাম দিয়ে
দিয়ো,
"মোহাম্মদ ডেভিড কৃষ্ণ বড়ুয়া"
আমার আত্না মিশে যাবে সকল ধর্মের পরমাত্মায়!
শরীর! তাতো কেবল আত্মার বাহক
আগুন মাটি দেবতারা একই আচরণ করে তার সাথে।