তুমি যখন হাট্টিমাটিম টিম পড়তে পড়তে-
দ্রিম দ্রিম দ্রুম দ্রুম বেগে লাফাচ্ছ!
তখন আমি কবর কবিতার শেষ চরণ-
পড়তে পড়তে চোখ মুছছি---
তখনও বুঝিনি আমি আসলে ছিলাম ;
কতটা দুঃখবিলাসী।


রূপসী বাংলার রূপের মতন যখন-
তুমি রূপবতী হলে, আমি তখন সময়-
কাটাতাম আপন খেয়ালে,
প্রকৃতির দেয়ালে দেয়ালে তোমার ছবি এঁকে এঁকে।


স্মৃতিভোলা প্রকৃতির কোন কোণেও ;
আর সেসব স্মৃতিচিহ্ন এখন উচ্চ-
ক্ষমতাসম্পন্ন দূরবীন লাগিয়েও দেখা যাবে না।


তারও আগেকার কথা:-
তুমি যখন ক্লাসে এইম ইন লাইফ;
পড়ার সময়ে ডাক্তার হতে চাইতে!
আমি তখন আরো উপরের ক্লাশে,
তোমার হাসপাতালের রোগী হওয়ার কথা ভাবছি।


তোমার আমার প্রেম হয়েছে ঠিকই
আমিতো সে কবেই বুঝেছি---
তুমি বুঝোনি, বুঝোনি কী!  বুঝতেই চাওনি
দূর থেকে তোমার চাহনিতে আমি প্রেম
দেখলেও, আমার প্রেম বুঝার কোনো খোঁজ পাইনি।


তুমি মেঘ হলে আমি বৃষ্টি হতে চাইতাম,
তুমি মিষ্টি হলে আমি পিঁপড়া হয়ে খাইতাম,
তুমি চোখ হলে আমি তার অশ্রুজলে  নাইতাম,
তুমি চাঁদ হলে আমি তার কলঙ্ক বইতাম,


এইসব ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে বাংলা সিনেমা
দেখে দেখে আয়ত্ত করা ব্যর্থ সংলাপ আর কী!


অনেক সাহস নিয়ে তোমার সামনে গিয়ে
আওড়াবো বলেও তোমার সামনে দিয়ে-
হেঁটেই চলে যেতাম, দাঁড়াবার সাহস পাইনি কখনো।


তবে, এই দুঃখবিলাসী আমি কখনো সুখী
হতে চাইনি, সে হিসেবে আমার জীবনের
লক্ষ্যটা সফলই বলা চলে।


কিন্তু, তুমি আর ডাক্তার হতে পারলে না!
শেষকালে মা-বাপে বিয়ে দিলো এক পয়াসাওয়ালা- জামাইর কাছে, লোকে বলে  যাকে ধনী।
বিদায়বেলা;
তোমার যাওয়ার সময় আমার অব্যক্ত
শেষ সংলাপটা অন্তত যাও শুনি!


কী  ছিলো তা! শুনবে? বলবো??
তুমি না হয় সারেং এর ঘরণী হও,
আমি বরং কষ্টই হবো।