ঘুরেফিরে পৃথ্বীর নীড়ে এই মৃত্তিকায়
যখন কৃত্তিকা আদ্রার জননী হেমন্ত উড়ে আসে,
অবিশ্বাসী মনগুলো বাতাসে কী জানি খোঁজে!
অস্তিত্বের অনুসন্ধানের দ্বিপ্রহর তখন।


অনুনমেয় সময়গুলোও হৈমন্তী মৃদুরোদে
অবিশ্বাস পুড়িয়ে পুড়িয়ে বিশ্বাসী হতে চায়।


আকস্মাৎ ফসলের ক্ষেত কৃষকের
সোনারাঙ্গা হাসি, অকৃত্তিম তৃপ্তি, গুটিগুটি
পা টিপেটিপে পেছনে এসে স্রষ্টার সাধুগান গায়।


সিডর আইলা কত আইলো! ফসলের মাঠে তীব্র
মাতম,স্রষ্ট্রার অস্তিত্বে নিদারুণ চ্যালেঞ্জ জানায়।


বেলাশেষে কামিনীর সতেজ ডগার শুভ্রতায়  
বিজয়ের বেশে সুমহান সত্তার নিশানা দেখা যায়।


মৃদুমন্দ বাতাসপরী স্নিগ্ধ বিকেলে কেবল
দোলখাওয়া সোনালী শীষভরা ধানের ঢেউয়ে  
স্রষ্টার বিমূর্তরূপ দেখা যায়।


কত প্লাবন, মহাদুর্যোগ নেই অবকাশ, রুদ্রবাতাস, প্রাকৃতিক হানাহানি, তবুও জানি, কৃষকের গোলাভরা ধান; এ কার দান! কোন সুমহান সত্ত্বার অস্তিত্ব বিনে!
সব ব্যথা ভুলে প্রকৃতি আবার হাসে মানুষের অনুকূলে?