এই যে কুয়াশাভোর, নিথর  প্রাণের
স্পন্দন, এখানে আকিঞ্চন রাত্রির
শেষ পদচিহ্ন দেখা  যায়,
পলায়নপর রাত্রির হা-হুতাশ আর
ক্রন্দন ধ্বনির লেশও ভোরের বাতাসে
মিশে রয়,


নিরুপায় ভোর যেন প্রতিনিয়ত এসব
রাত্রিদের নিয়মিত প্রস্থানের সাক্ষী ,
রাত্রির শেষ দীর্ঘশ্বাসের আগুনে কোমল
ভোরও যেন পুড়ে পুড়ে অঙ্গার, ভোর
তবুও স্মিত হেসে দিনের অাগমনী
বার্তা আর অভিবাদন জানায়,


ভোরের বাক্সে রাত্রির লিখে যাওয়া
ছিঠি জমা থাকে বেদনার নীলখামে,
অবলা রাত্রির রেখে যাওয়া স্হিরচিত্রও
স্থান পায় ভোরের অ্যালবামে।


রাত্রিতো রাত্রি নয় কেবল, আসলে
ভোর দিয়ে এরা দিনেরই খাপ খোলে,
হা-হুতাশ রাত্রির দুখিনী যাত্রিরা-
ভোরের আলোয় বেদনার স্মৃতি ভোলে।


অবলা রাত্রির প্রগলভ যাত্রীরা কভুও
মাড়ায় না ভোরের প্রেমসিঁড়ি,
রাত্রির নির্যাসপানে প্রগলভ যাত্রীদের-
সম্বিৎ থাকে না বেঘোরেই থাকে পড়ি।


ভোরেরা প্রেম বিলায় প্রাণভরে,
মজুরহৃদয়ের ওষ্ঠাধরে-
সাদরে বরণ করে এসব ভোরের যাত্রিরে,
মুচি,মুটে,কুমোর কামার,খেটে
খাওয়া মানুষেরা রাত্রির-
নীরব অতিথি ভোরেরেই প্রণাম করে।


ভোরেরা আসলেই ভাগ্যবান
কেবল হর্ষ হর্ষ আর উল্লাস
রাত্রিদের দীর্ঘশ্বাস আর স্মৃতিচিহ্ন ছাড়া
ভোরেদের তেমন কোনো দুঃখ নাই,
অসহায় রাত্রিরাই দিনের খাপ-
খুলে ভোর হয়, এইযে স্নিগ্ধ কোমল
ভোরেরা আসলেই রাত্রির সমাপ্তি কেবল
রাত্রিরাতো আর ভোর নয়।