কে আসে রোজ কে আসে
নৈশব্দের বাহনে চড়ে আলগোছে
ভাবনার আশেপাশে রোজ কে আসে
দুচোখের বামপাশে
এসব কার ছবি জীবন্ত প্রাণ হয়ে ভাসে!


কেনইবা জানি আমারই নানী পৃথিবীর অতীত হয়ে নাচে!
দৈত্যের মত হা হা কোরে দাদীর কবরের চিহ্নও হাসে
দাদার বার্ধক্য যেন তুমুল আওয়াজ তুলে কাশে


বাবার শাসনগুলো তর্জনী উঁচিয়ে
ভাষণ দেয় জীবনের আনাচে কানাচে
মায়ের অপত্যস্নেহগুলো অযথাই হাতড়ে বেড়াই
কেবল অপাত্রের কাছে
ভুলের খেয়ালে খাওয়ার টেবিলে বসে রোজই
ভাইটিকেও যেন আমি খুঁজি
এই বোন---
আমাদের বোনেরাও চলে এলো বুঝি!


কেউ কি দরোজার কাছে বসে মহা ধুমধামে
কোরছে ভূত ডাইনির গল্প
কেউ কি বোলছে ইসমাইলের মা- ওগো চুন আছে পান দাও অল্প
কেউ কি নিয়ে আসে মাছ মাংস আর কীসব বাজার
কেউ কি রসুই ঘরে কোরছে মাটির ঊনুনসব জোগাড়


কেউ বুঝি গুনছে হাতের আঙুলে আঙুলে কত বাকী  আর রোজার
কেউ কি পেয়েছে কাজ
রোজ ইচ্ছে কোরেই
হারিয়ে যাওয়া আমাকেই খোঁজার!


কেউ কি পশ্চিমাকাশের বুকে খুজে ফেরে
রোজার ঈদের চাঁদ
কেউ কি সবুজ মেহেদিতে রাঙায় ফুরফুরে কোমল দুটি হাত
কেউ কি আছে বেলুনের বাহানায় মুখখানা কোরে ভারী
কেউ কি বোলছে ধুৎ কথাই বলবো না আর তোমাদের সাথে আজ আড়ি


এসব প্রশ্নরাও রোজ আসে
আমাকে বিদ্ধ করে তীরের ফলার মতন তুমুল উল্লাসে


আমিও চরম দুঃসাহসবশে  
স্মৃতির মগডালে বসেই কাঁপি
স্মৃতির খাঁচারাও খুলে দেয় তাদের সবগুলো গোপন ঝাঁপি


স্মৃতির জোয়ারে ভেসে কোথা যাই চলে!
হৃদয়ের দুপাশে দুখান জীবন্ত আগ্নেয়গিরি জ্বলে
দুচোখ পর্বতশিখা হিমালয়সম গলে--