শেষ ইচ্ছার মত



ফুল পাখি আর কলতান দিয়ে
তোমাকে সাজিয়েছিলাম কত নিরুপম উপমায়
আকাশের তারা এনে তোমার
কোপালের তিল বানানোতো আমার পুরোনো অভ্যেস
বরং
এবার ভেবেছি তোমাকে জলজ্যান্ত
সাগর বানিয়ে;
হাত পা ছেড়ে দিয়ে ভেসে থাকবো তোমার
নুন নুন মোহনায়


ভেবেছি আর কখনো ফিরে আসবো না ডাঙায়
তোমায় তৃষ্ণায় ফেটে গেছে বুকের জমীন তট
এবার  আর কোনো মানবীয় ভুল হবে না নিশ্চয়
সুদাসলে পুষে যাবে আমাদের জমানো সব
অভিমান


তোমার পলিতে ভরে যাবে আমার আকাশ বাড়ীসব
আর কোনো জাগতিক আক্ষেপ থাকবে না
এইসব রসায়নে রসায়নে প্রাকৃতিক উপায়ে
তোমাতেই পুঁতে দেবো আমাদের আগামি ঠিকানা


দায়


আমাদের মাকে আমরা কেমন ধুঁকেধুঁকে
মরে যেতে দ্যাখছি
কিন্তু কিছুই বলছি না!  


গুয়ান্তানামোর কারাগারবন্দী চোখে সব সয়ে গেছে!
সাড়ে তিনহাতও নড়তে চায় না আজ
নিথর পড়ে থাকে আমাদের সমস্ত মগজ


স্বাধীনতার জীবন বৃন্তান্ত দেখে দেখে
আমাদের সময়গুলো কাটে
মার্চ এসে যদিও একটু তাঁতিয়ে যায়


ষড়যন্ত্রের কবলে নিরুপায় ডিসেম্বর
শুধুই শিখিয়ে দেওয়া ভাষণ আওড়ায় পথে পথে
ফ্রেব্রুয়ারিকেও এখন খালি চোখে পাঠ করা যায় না কোনো মতেই


আমাদের কি কিছুই করার নেই মা?
অবশেষে তুমি কি সহজেই দায় মওকুফ করে
আমাদেরে টেনে নিবে সবুজের আচ্ছাদনে